উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় শুভেন্দু অধিকারী। ‘সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে একদলীয় শাসনতন্ত্র চলছে। শুধু ডায়মন্ড হারবারের মানুষরা বার্ধক্য ভাতা পাবে কেন। ঘুষ দিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন।’
কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্ভবত এটাই শেষ ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি হতে চলেছে। সেইমত চলেছে আয়োজনও। শুক্রবার উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সবস্তরের নেতা কর্মীরা। এখান থেকেই কী শুরু হবে ২৪-এর লড়াইয়ের প্রস্তুতি? লোকসভা ভোটে দলের রণকৌশল কী হতে পারে সেই নিয়ে বার্তা দিতে পারেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। সেইদিকেই তাকিয়ে সব মহল।
নিয়ম অনুযায়ী মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনও ব্যক্তি বিধায়ক থাকতে পারেন না। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
ইফতার পার্টিতে এসে মুকুল রায়কে 'পাগল' বললেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রসুন বন্দোপাধ্যায় হাওড়ার বাঁকড়ায় ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। সেখানেই তিনি বলেন, 'মুকুল রায়কে কিনা দিয়েছে দিদি। মুকুল রায় দলের সবকিছু পেয়েছে।
মুকুল রায়ের জন্য দলের ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। পাশাপাশি মানুষের এই মুহূর্তে কার কথা বিশ্বাস করা উচিত সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বুধবার গেরুয়া জ্যাকেট পড়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সঙ্গে থাকার কথাই বলেছেন তিনি।
বিজেপিতে থাকছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মুকুলের যাওয়া আসাকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল সে কথা স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু নিজে নন, নিজের ছেলেকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বাবা মুকুল রায়।
'অভিষেককে কালিমালিপ্ত করতে বাবাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া' মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে মন্তব্য ছেলে শুভ্রাংশুর। 'বাবাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে', মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়ার ঘটনায় এমনটাই মন্তব্য করলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়।