‘রঘুদা, কোথায় আপনি?’ ভয় পেয়ে রাজবাড়ির চাকরকে হাঁক দেন রাজাবাবু। অন্ধকারে গান গেয়ে যায় লাল শাড়ির সুন্দরী ‘ছন্দা’। এসভিএফকে বাদল সরকারে পৌঁছে দিলেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তাঁর ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ দিয়ে।
একবার বন্যায় রাজবাড়ির গোশালা ভেঙে পড়ে। গোশালায় দেবীর উৎসর্গীকৃত মহিষ দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যায়। সে বছর থেকেই পশুবলি বন্ধ হয়ে যায়।
সপ্তমীর সকালে দোলা নিয়ে পুকুর ঘাটে ঘট ভরতে যাওয়ার সময় থেকে শুরু হয়ে যায় পুজোর জাঁকজমক। বাঁশির বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মন্দিরের সামনের দোতলা বারান্দা থেকে ক্ষীরের নাড়ু নীচে ছোঁড়েন বাড়ির বয়স্ক সদস্যরা।
প্রায় আড়াইশো বছরের পুরোনো জাড়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। যে মন্দিরে পুজো দেখতে আসতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে রাজবাড়ির আত্মীয় রাজা রামমোহন রায়।
স্বমহিমায় বিরাজমান পাঁচেটগড় রাজবাড়ির পুজো। রাজবাড়ীর ইতিহাসে জড়িয়ে রয়েছে সুরসাধক যদুভট্টের কাহিনি।
তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে ইতিহাসের সাক্ষী শ্রীরামপুর রাজবাড়ি। একসময় এই রাজবাড়িতেই পা রেখেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, চিত্তরঞ্জন দাশ থেকে সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায়।
‘টাকির লাঠি, সাতক্ষীরার মাটি আর গোবরডাঙ্গার হাতি সুপ্রসিদ্ধ’, টাকিকে ঘিরে কেন জন্ম নিয়েছিল এই প্রবাদ, জানেন কি?
১৭৯০ সাল নাগাদ শুরু হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির ছোট তরফের দুর্গা পুজো।একটা সময় এই বাড়ির সন্ধিপুজোর সূচনা হত কামান দেগে। শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ত সে শব্দ।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে পুজো শুরু করলেন নবকৃষ্ণ। পুজোর বিধি তিনি নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সভাপণ্ডিত জগন্নাথ তর্কপঞ্চানের কাছ থেকে। এই দুর্গাপুজো এখন বড় তরফের পুজো নামে খ্যাত।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পুজোর সময় ছড়রা গাড়িতে চেপে হাজির হয়েছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে। ইংরেজদের প্রতি কৃতজ্ঞ নবকৃষ্ণ দেবের এই পুজোতে ভক্তির তুলনায় বৈভব ছিল মূল আকর্ষণ।