ভাদু শেখের মৃত্যুর থেকে বন্ধ ছিল বেআইনি রাজস্ব আদায়ে বন্ধ ছিল রামপুরহাটে। কিন্তু ১ জানুয়ারি থেকে বেআইনি রাজস্ব আদায় নতুন করে শুরু হয়। তাতেই গররাজি পাথর ব্যবসায়ীরা।
লালন শেখের মৃত্যুর পর বড় পদক্ষেপ সিবিআই-এর। রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্প কলকাতায় নিয়ে আসা হল। অন্যদিকে সিবিআই-এর ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিআইডি-র।
'মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন', মমতার রামপুরহাট সফরের দিনেই বিধায়সভায় ফের ওয়াকআউট বিজেপির।
রামপুরহাট কাণ্ডে কথা বলার জন্য অমিত শাহের থেকে সময় চেয়েছে তৃণমূল। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । 'আজই বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বীরভূমে ঢুকছে, তাই যাইনি', বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট গণহত্যায় নিহত ৮ জনের দেহ সৎকার হল বকটুই গ্রামে। মৃতদের মধ্যে ২টি শিশুর দেহ চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এমতাবস্থায় এবার ৩৫৫ ধারা নিয়েই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অধীর।
এই নৃশংস ঘটনা ঘটার পর থেকেই প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরাও। তবে বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল সরকারকেই৷ যা নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে জানানো হয়েছিল ভাদু শেখের খুনের পর এলাকায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খানিক কমানো গিয়েছে। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রামের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আলাদা কোনও রাস্তা অবলম্বন করা হয়নি।
ভাদুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল ওই এলাকারই বাসিন্দা পলাশ শেখ, সোনা শেখ, লালন শেখ, সঞ্জু শেখ, মহি শেখ, হানিফ শেরা, চেরা শেখরা। যাদের বিরুদ্ধে বাবরের পাশাপাশি ভাদুকেও খুনের অভিযোগ উঠছে।