বাম প্রার্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়ে তারা জিতলে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার মহিলাদের জন্য বিশেষ কাজ করবেন। যার মধ্যে রয়েছে মহিলা নিরাপত্তা থেকে শুরু করেছে মহিলা ক্ষমতায়ণে মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পেশের সময় বলেন, 'আমাদের মা ও বোনেদের হাত শক্ত করার জন্য মা-মটি-মানুষের সরকার আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করছে।'
নতুন বছরের আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ফের বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘোষণাতেই হাসি ফুটেছে আপামর মা বোনদের মুখে।
২০২১ সালের নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের অন্যতম কারণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।
বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোটকে টার্গেট রেখে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলেই অসম, মধ্যপ্রদেশের মতো বাংলার সমস্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ নয়, ২০০০ টাকা করে দেবে বিজেপি সরকার।’
মেঘালয় সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসম-মেঘালয় সীমানায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ভোটে জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মমতা।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ভাল্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পিন্ডিরা হাইস্কুলের ক্যাম্পে ফর্ম মিলছে না বলে অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। বরং মুদির দোকান থেকে বেআইনিভাবে দেদার বিকোচ্ছে ফর্ম।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়াও এবছর স্কচ-এর তরফ থেকে স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উন্নয়নকারী 'ঐক্যশ্রী' প্রকল্প। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে প্ল্যাটিনাম জিতে নিয়েছে বঙ্গ সরকারের বন বিভাগ 'যৌথ বন ব্যবস্থাপনা- একটি গণ আন্দোলন'-এর উদ্যোগের জন্য।
রাজ্যের মহিলাদের জন্য সুখবর। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন করে আবেদন করা যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য। শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল সেইসঙ্গে মজুরি ও অর্থের অধীনে প্রাপ্ত তহবিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করছে। তিনি আরও বলেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প।