ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০টিরও বেশি শুনানির পরে, নির্বাচন কমিশন এনসিপিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর পক্ষে রায় দেয়। এখন এনসিপির নাম ও নির্বাচনী প্রতীক 'ঘড়ি' থাকবে অজিত পাওয়ারের কাছে।
শরদ পাওয়ার বলেছেন, অতীতে কিছু পরিবর্তন হয়েছিল। আমাদের কিছু সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। তারা যদিও দাবি করেছে উন্নয়নের জন্যই তারা দল বদল করেছে। কিন্তু আদতে সত্য নয়।
এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন পাটোলে। তারপরই তিনি জানিয়েছেন পাওয়ার সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছেন
এনসিপি-র ঘরোয়া কোন্দলে মহারাষ্ট্র ও জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মোড়। পাওয়ার পরিবারের বিবাদে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে অস্বস্তি। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতেও প্রভাব পড়েছে।
অজিত পাওয়ারের ডিগবাজি খাওয়ার পরেই শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, অত্যান্ত খুশি যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি অভিযোগ থেকে কিছু এনসিপি কর্মীকে মুক্তি দিয়েছেন।অ
শুক্রবারই জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি।
এটা সকলেরই জানা যে এনসিপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অজিত পাওয়ার এবং সুপ্রিয়া সুলের মধ্যে সর্বদা দড়ি টানাটানি হয়েছে। এবার এটাও বলা হচ্ছে যে আজকের পদত্যাগটাও শরদ পাওয়ারের মাইন্ড গেম এবং তিনি শুধু নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে চান।
শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের পর দলের রাশ যাবে কার হাতে? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত? তবে কি রাজনীতি থেকেই অবসর নিচ্ছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক?
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, শরদ পাওয়ার এই বদয়ে মুম্বই থেকে সরাসরি দিল্লিতে এসেছেন। তিনি তাদের পথ দেখিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। খাড়গে আরও বলেন, রাহুল গান্ধীও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিয়া সুলে মহারাষ্ট্রের পুনেতে একটি ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পুনের হিঞ্জাওয়াড়ি এলাকায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করার কথা ছিল সুপ্রিয়া সুলের।