শুটআউটের শব্দ কেঁপে ওঠে স্টেশন চত্বর। ছুটে আসেন বাকি যাত্রীরা। এসে তাঁরা দেখতে পান যে, মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা অবস্থায় সিটেই বসে রয়েছেন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি।
গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডার গাড়িতেই শনিবার রাতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের সামনে বসে ছিলেন রাজু ঝা। তাঁকে খুনের পেছনে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
স্থানীয়দের দাবি, এক নাগাড়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ বার গুলি চালানো হয়। কয়লা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল।
তাঁরা মেট্রোপলিস মলের একটি বারে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আরেকটি পানশালায় ঢোকেন পিণ্টু-জিৎ। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে স্লট বুকিং নিয়ে দুই যুবকের বচসা শুরু হয়।
শুক্রবার আদালতের কাজ শুরু হওয়ার ঠিক পরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির বন্দুক থেকে গুলি চলে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে আদালত চত্বরে।
বাঁশদ্রোণীর পর ফের শুটআউটের ঘটনা রাজ্যে। পুলিশের গাড়িতে চড়ে এসে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এবার সোনারপুরে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি চালানোর ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে রিজেন্ট পার্কে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। আর তারপর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই সাত সকালে তিলজলায় চলল গুলি। তার সঙ্গে আবার বোমাবাজিও হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মাদারিহাটের গ্যারগেন্ডা চা বাগান এলাকায় তিতিখোলা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পাথর তোলা হত। এই পাথরের খাদান কার দখলে থাকবে তাকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের মূল সূত্রপাত।
রবিবার রাতে হাওডা়র ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিং কলকাতার বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রসদনের দিকে যাওয়ার সময় গোর্কি সদনের সামনের সিগন্যালে আচমকাই ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
গতরাতে গাড়িতে করে বিটি রোড ধরে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।