যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষ নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই স্থানীয় একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরে অভাব অভিযোগ জানাতে থাকেন।
তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন তার লোকসভা কেন্দ্রের সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় করেই এই পুজো। তবে তাঁর এই শিবপুজো উসকে দিয়েছে বিতর্ককে। পুরোনো বিতর্ক ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় প্রচারে বহুবার সায়নী ঘোষকে অনুপস্থিত থাকতে দেখেছেন বাংলার মানুষ। সেই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে তাঁর উপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী দল বিজেপিকে পেছনে ফেলে জেলায় জেলায় যথেষ্ট ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল। এই ফলাফলের পর এবার মুখ খুললেন যুব তৃণমূল নেত্রী।
সায়নী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানা গিয়েছে, সে সম্পর্কেও নাকি কোনও উল্লেখ নথিতে নেই বলে জানা গিয়েছে।
৫ জুলাই, বুধবার ইডির দফতরে সায়নী হাজিরা দেবেন কিনা, সেই নিয়ে এক সপ্তাহ ধরেই চলছিল জল্পনা। অবশেষে বুধবার বেলা গড়াতে সেই জল্পনার অবসান।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই একাধিক সাক্ষীর বয়ানে সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। এইসব খতিয়ে দেখতেই এবার ময়দানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরেই ইডির জেরার মুখে পড়েছেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁকে একের পর এক প্রচারকার্য থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রশ্ন ভোটের প্রচারে কি আদৌ এবার দেখা যাবে সায়নীকে? উল্লেখ্য আগামী ৫ জুলাই ফের ইডির দফতরে তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে।