যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। যাদবপুরের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে 'বৃন্দাবনও বিলাসিনী রাই আমাদের' গাইলেন সায়নী।
শিবলিঙ্গে দুধ ঢেলে পুজো করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এদিন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে বেড়িয়েছিলেন সায়নী। শিবলিঙ্গে দুধ ঢেলে পুজো দিয়ে বিতর্কের অবসান করলেন সায়নী!
তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন তার লোকসভা কেন্দ্রের সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় করেই এই পুজো। তবে তাঁর এই শিবপুজো উসকে দিয়েছে বিতর্ককে। পুরোনো বিতর্ক ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
নাম ঘোষণার পরই ভোটের প্রচার শুরু তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের। যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছিলেন তাঁর সঙ্গে, ব্রিগেডের জনসভায় মমতা প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
ব্রিগেড ময়দান থেকে তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা। তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা। বহরমপুর থেকে লড়ছেন ইউসুফ পাঠান। যাদবপুর থেকে লড়বেন সায়নী ঘোষ। হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘কোন নির্বাচনী কমিটি তৈরি করে দেননি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ৩৫ টি আসনের টার্গেট, সেই টার্গেটকে রেখেই আমরা এগোবো। সায়নী ঘোষ শিবলিঙ্গে কি পড়িয়েছিলেন তার জন্য কি ক্ষমা চেয়েছিলেন? বিবেকানন্দ সম্পর্কে আমি কিছু বলিনি, বলেছি তৃণমূল নেতাদের নিয়ে’
আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। ‘বিজেপি সারাদেশে রক্ষকের বেশে ভক্ষক। এই বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চায়। ২০২৪-এ বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।’
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।
শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে সায়নী ঘোষ বলেন, '১৯৯৩ সালের লড়াই ছিল রাজ্য বাঁচানোর লড়াই, আর ২০২৩ সালের ২১ জুলাই দেশ বাঁচানোর লড়াই।'
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় প্রচারে বহুবার সায়নী ঘোষকে অনুপস্থিত থাকতে দেখেছেন বাংলার মানুষ। সেই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে তাঁর উপস্থিতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।