তদন্তের স্বার্থে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে দিয়ে হামলার সম্মুখীন হয়ে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। এরপর রাজ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ, এনআইএ তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না।
মহুয়া চিঠিতে লিখেছেন, সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁর চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল। দুটি সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তা সত্ত্বেও সেই কৃষ্ণনগর থেকেই তাঁকে এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
লোকপাল বলেছে যে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে IPC-এর ২০৩(এ) ধারায় মামলা দায়ের করা উচিত এবং তদন্ত করা উচিত। এছাড়া ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
রাজ্য সরকার গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিল যাতে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের উপর হামলার তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআই দল নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। জেনে রাখা ভালো যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক তদন্তের অধীনে সিবিআই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বা তল্লাশি চালাতে পারবে না। তবে তারা তথ্য চাইতে পারে ।
টাকা নেওয়া এবং সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঝামেলা বাড়তে চলেছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়েছেন যে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লোকপাল অভিযুক্ত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং পাল্টা হুঁশিয়রি দিয়েছে বাংলার শাসকদলকে।