কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে বা অন্য কোথাও সবারই গুপ্ত শত্রু থাকতে পারে। তাদের সবসময় চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য পণ্ডিত।
চাণক্যের মতে, জীবনে বন্ধু যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন সেই সব মানুষ, যারা আমাদের বিপক্ষে দাঁড়ায়। তারা আমাদের লড়তে শেখায় এবং আমাদের সাফল্যের পথ তৈরি করে।
সবাই সামনে থেকে আক্রমণ করে না। কিছু লোক বন্ধু হয়ে আমাদের সঙ্গে থাকে, কিন্তু মনে মনে আমাদের হার চায়। চাণক্য মনে করতেন, এই ধরনের লোক ঘোষিত শত্রুদের থেকেও বেশি বিপজ্জনক।
শারীরিক শক্তি দিয়ে নয়, বুদ্ধি ও চতুরতা দিয়ে জয় পাওয়া যায়। চাণক্য বলেন, যদি আমরা আমাদের শত্রুর দুর্বলতা চিনতে পারি, তাহলে তাকে হারানো সহজ হয়ে যায়।
গুপ্ত শত্রুর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ানো ক্ষতিকর হতে পারে। না ভেবেচিন্তে খারাপ কথা বলা বা দোষারোপ করা, বিরোধ আরও বাড়াতে পারে, পরামর্শ চাণক্য পণ্ডিতের।
যুদ্ধে তলোয়ারের চেয়ে কথার শক্তি বেশি। যদি আমরা নিজের কথা সঠিক ভাবে রাখতে পারি, তাহলে বিরোধী দুর্বল বোধ করতে শুরু করবে, পরামর্শ চাণক্য পণ্ডিতের।
যদি আমরা জানতে পারি যে সামনের জন কী পরিকল্পনা করছে, তাহলে আমরা আগে থেকে তৈরি থাকতে পারি এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে পারি, মত চাণক্য পণ্ডিতের।
চাণক্য বলেন, নিজের কৌশল এবং গোপন কথা শুধু বিশ্বস্ত লোকেদের সঙ্গেই ভাগ করুন। বিরোধীরা যেন আমাদের পরের পদক্ষেপের আভাসও না পায়।
শুধু কথা দিয়ে নয়, নিজের কাজ দিয়ে নিজের শক্তি প্রমাণ করুন। এটাই আসল সাফল্যের চাবিকাঠি, বলে গিয়েছেন চাণক্য পণ্ডিত।
চাণক্যের এই নীতিগুলি আমাদের শেখায় যে মানসিক শক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে সব কঠিন পরিস্থিতিকে সুযোগে বদলানো যায়।