ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব সংগীত শিল্পী মান্না দে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় গানের অন্যতম রূপক হিসাবে পরিচিত যে নাম তিনি 'মান্না দে'
দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি গান রয়েছে তার ঝুলিতে, সর্বকালের সেরা গায়ক হিসেবেই তিনি সকলের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছে
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আকর্ষন ছিল। কনিষ্ঠ কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দের উৎসাহে ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের জগতে হাতে খড়ি। ১৯৪২ সালে কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দের হাত ধরে মুম্বই পাড়ি
আধুনিক বাংলা গানের জগতে সমস্ত শ্রোতাদের কাছেই ভীষণই জনপ্রিয় ছিলেন মান্না দে। একজন সফল সংগীত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া।
পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশক, রফি ও কিশোর কুমারের মতো তিনিও ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শুরুতে কৃষ্ণ চন্দ্র দের সহকারী হিসাবে কাজ করলেও শীঘ্রই শচীন দেব বর্মনের সান্নিধ্যে আসেন, ১৯৪৩ সালে 'তামান্না' চলচ্চিত্রে গায়ক হিসাবে অভিষেক
'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই'-মান্না দে'র গাওয়া কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। যেটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সকলেরই হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে
এছাড়াও অন্যান্য গানগুলির মধ্যে 'আবার হবে তো দেখা', 'এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি', 'তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা পাখি', 'যদি কাগজে লেখো নাম', 'সে আমার ছোট বোন' ইত্যাদি
সঙ্গীত ভুবনে তার অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করেছেন ভারত সরকারও। ১৯৭১ সালে তাকে 'পদ্মশ্রী ', ২০০৫ সালে 'পদ্মবিভূষণ ' এবং ২০০৭ সালে 'দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা ' প্রদান করা হয়
২০১১-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান 'বঙ্গবিভূষণ ' দেয়। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর প্রয়াত হম মান্না দে। জীবনদীপ নিভে গেছে, মানুষের মনে অমলিন 'মান্না দে'।