বলিউডের কিংবদন্তি ধর্মেন্দ্র আর আমাদের মাঝে নেই। আজ মানুষ তাঁকে সুপারস্টার, লিজেন্ড এবং হি-ম্যান নামে চিনলেও, তাঁর শুরুটা ছিল অত্যন্ত সাধারণ এবং संघर्षময়।
বিশ্বাস করা কঠিন যে, যে ধর্মেন্দ্রর নামে ছবি চলত, তিনি তাঁর প্রথম ছবির জন্য মাত্র ৫১ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এই সামান্য আয়ই তাঁর বড় যাত্রার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
ধর্মেন্দ্র কখনও কোনও অভিনয় কোর্স করেননি। পাঞ্জাব থেকে আসা এই সাধারণ ছেলেটির জীবন বদলে যায় যখন তিনি ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট হান্ট জেতেন। সেখান থেকেই তাঁর স্বপ্ন মুম্বাইয়ের পথ ধরে।
মুম্বাই পৌঁছেই তিনি বুঝতে পারেন যে তারকা হওয়া স্বপ্নের চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। থাকার জায়গা নেই, খাওয়ার টাকা নেই... কিন্তু সাহস ছিল অটুট যা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জুগিয়েছিল।
ধর্মেন্দ্র এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রতিদিন চলচ্চিত্র প্রযোজকদের অফিসে যেতেন। টাকা না থাকায় পার্কের বেঞ্চে বা যেখানে জায়গা পেতেন সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তেন।
সেই দিনগুলো এমন ছিল যখন রাতে ঘুমানোর সময় তাঁকে মশার কামড় এবং পথকুকুরের ভয় মোকাবিলা করতে হতো। কিন্তু সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি কখনও হাল ছাড়ার কথা ভাবেননি।
১৯৬০ সালে পরিচালক অর্জুন হিঙ্গোরানি তাঁকে প্রথম সুযোগ দেন। ছবির নাম ছিল ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’। এই ছবির জন্যই তিনি প্রথমবার ৫১ টাকা পান, যা ছিল তাঁর প্রথম বেতন।
৫১ টাকা উপার্জন করা সেই যুবক হিন্দি সিনেমার সুপারস্টার হয়ে ওঠেন। সংগ্রামের আগুনে পুড়ে তৈরি হওয়া এই তারকা হয়তো আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে।