লোকশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর আজ কোনো পরিচয়ের মুখাপেক্ষী নন। বিহারের মধুবনী জেলার উরেন নামক ছোট গ্রাম থেকে উঠে এসে তিনি সারা দেশে তাঁর সুরের জাদু ছড়িয়ে দিয়েছেন।
যখন বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী পাশ্চাত্য সঙ্গীতের দিকে ঝুঁকছিল, তখন মৈথিলী তাঁর গ্রামের মাটির গন্ধমাখা ভোজপুরি এবং মৈথিলী লোকসঙ্গীতকেই নিজের পরিচয় বানিয়েছিলেন।
মৈথিলী ঠাকুরের জন্ম ২০০০ সালের ২৫ জুলাই মধুবনীর বেনিট্টি ব্লকে। তাঁর বাবা রমেশ ঠাকুর নিজেও একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং তিনিই মৈথিলীকে সুর ও সঙ্গীতের শিক্ষা দিয়েছেন।
মৈথিলী ঠাকুরের মা ভারতী ঠাকুর একজন গৃহিণী, এবং তাঁর ভাই ঋষভ ও অয়াচিও সঙ্গীতের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
মৈথিলীর প্রাথমিক পড়াশোনা বাড়িতেই হয়। দিল্লিতে আসার পর তিনি বাল ভবন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন।
দ্বাদশ শ্রেণির পর মৈথিলী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মারাম সনাতন ধর্ম কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি ভারতী কলেজ থেকেও পড়াশোনা করেছিলেন।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ২.৩২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ, গাড়ি, গয়না এবং ১.৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি।
তিনি একটি শো-এর জন্য ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন এবং মাসে প্রায় ১০ থেকে ১২টি শো করেন। তাঁর মাসিক আয় ৫০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা বলে জানা যায়।
২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী মৈথিলী ঠাকুরকে 'কালচারাল অ্যাম্বাসেডর অফ দ্য ইয়ার' সম্মানে ভূষিত হন।
সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ দ্বারভাঙার আলিনগর আসন থেকে টিকিট পেয়েছেন। রাজনীতিতে আসা সত্ত্বেও তিনি বলেন, সঙ্গীতই আমার আসল পরিচয়।