বর্তমানে দিল্লি থেকে দেহরাদূন সফরের সময়সীমা ৫ ঘণ্টার বেশি। রাস্তায় যানজট থাকলে তো কথাই নেই। সফর আরও লম্বা। ১ বছরের মধ্যে এই সফরনামার সময়সীমা নেমে যাবে ২.৩০ ঘণ্টায়
দেহরাদূন থেকে দিল্লি-র মধ্যে তৈরি হচ্ছে এক নয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা
দেহরাদূন থেকে দিল্লির মধ্যে ২১০ কিলোমিটার লম্বা এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। এর আগেই এই প্রকল্প পরিবেশ বান্ধবের ছাড় না পাওয়ায় আটকে গিয়েছিল। ৯টি ফেজে তৈরি হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে
এই মুহূর্তে প্রবল ব্যস্ততা নিয়ে কাজ চলছে। জানা গিয়েছে ৯টি ফেজের কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। এমনকী কোন সংস্থা এই ৯টি ফেজের ডেভলপমেন্টে কাজ করবে তাও নিশ্চিত করা হয়ে গিয়েছে
এই মুহূর্তে প্রকল্পের খরচ ১৩,০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এতে ৬ থেকে ১২ টি লেন থাকবে
এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা নিরুপদ্রব সফরের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশ ও গাজিয়াবাদের মধ্যে দিয়ে যাবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।
এই প্রকল্পের এক ডিরেক্টরের কথায় ৩১.২ কিলোমিটারের দিল্লি-বাগপট করিডর এই এক্সপ্রেস ওয়ের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। যা দিল্লি ও গাজিয়াবাদের মধ্যেকার সফরেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগ
২০২০ সালে এই দিল্লি-দেহরাদূন এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চূড়ান্ত মঞ্জুরি মেলে। ঠিক হয় যে ভারতমালা পরিযোজনার অধীনে এর নির্মাণ হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের পথে একাধিক কৃষি জমি এবং বনাঞ্চল রয়েছে
এই এক্সপ্রেসওয়ে শহরকে আরও গ্রামের কাছ নিয়ে আসবে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামীণ অর্থনীতি আরও বেশি করে উপকৃত হবে বলেই মনা করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই প্রকল্পের দেখভাল করছেন প্রাথমিকভাবে। কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্পের এলাকায় যান। সঙ্গে ছিল জাতীয় হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-র আধিকারিকরাও