মালদ্বীপে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা পাকিস্তানের এরিকা রবিন। সুন্দরীকে নিয়ে যেমন জল্পনা তেমনই জোর চর্চা পাক মুলুকে।
৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমবারেই সেরার খেতাব। জয়ী এরিকা রবিন। কিন্তু তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে কাঁটাছেড়া।
পাকিস্তান থেকে অংশ নিয়ে নানাবিধ সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। তিনি অবশ্য অবিচল। জানান আমি এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে চাই যে পাকিস্তান একটি পিছিয়ে পড়া দেশ।
পাকিস্তানের প্রথম সারির মডেল। ২৪ বছরের বাসিন্দা করাচির বাসিন্দা। তিনি খ্রিস্টানধর্মাবলম্বী। গত মার্চে দুবাইয়ের ইউগেন গ্রুপ মিস পাকিস্তান প্রতিযোগিতার ঘোষণা করে।
এরিকা বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্রী। গত কয়েক বছর ধরে তিনি পাকিস্তানের মডেল হিসেবে পরিচিত। তবে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরই তিনি পাকিস্তানের আলোচ্য বিষয়।
পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় কি করে তা নিয়ে প্রশ্ন। পুরুষদের সামনে বিকিনি পরে হাঁটা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ পাকিস্তানে।
সাংবাদিক মারিয়ানা বাবর সহ মডেল, লেখক এবং সাংবাদিকরা টুইটারে এরিকাকে সৌন্দর্য এবং মস্তিষ্ক হিসাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জামায়াত ইসলামির সেনেটর মোশাতাক আহমেদ এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল-হক কাকার দেশের গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরিকা এমন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে যারা প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। মালদ্বীপের প্রতিযোগিতার মঞ্চায়নকে একটি লজ্জাজনক কাজ এবং পাকিস্তানের মহিলাদের অপমান ও শোষণ বলে অভিহিত করেছেন৷
পাকিস্তানের একটি অংশের বার্তা মিস ইউনিভার্স অনুষ্ঠানে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানের ধর্ম ও রাজনীতিকে অবমাননা করেছে।