মহালয়ার পুণ্য তিথিতে শেষ হয় পিতৃপক্ষ। এই দিনেই হয় দেবীপক্ষের সূচনা।
দেশ থেকে বিদেশ, আপামর বাঙালির মহালয়ার দিন শুরু হয় ভোরবেলার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ দিয়ে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের অমর সৃষ্টিই আমাদের দুর্গাপুজোর কথা মনে করায়।
‘মহিষাসুরমর্দিনী’ যেহেতু দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের আরাধনা স্তব, আর প্রত্যেক বছর মহালয়ায় এটি অঘোষিতভাবে ‘আবশ্যক’, তাই মনে করা হয় যে, এর দ্বারাই ঘটে গেল দুর্গাপুজোর সূচনা।
মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোনও সংযোগ নেই।
মহালয়ার ভোর থেকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী প্রভাবে বাঙালি একে দুর্গাপুজোর সঙ্গে জুড়ে ফেলেছেন।
বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র রেডিয়োয় এই মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটি পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ করেছিলেন।
আশ্চর্যজনকভাবে যে বছর তিনি মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটি মহালয়ার দিনে করেছিলেন, সেই বছরই এই অনুষ্ঠানটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল।
সেই বছর থেকেই মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে এই আরাধনা স্তুতি শোনা যায়।
এভাবেই মানুষের মনে ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে, ‘মহালয়া’ মানেই হল দুর্গাপুজোর শুরু। সেই ধারণা থেকেই মুখে মুখে ছড়িয়েছে ‘শুভ মহালয়া’।
তবে, মহালয়ার পরদিন থেকেই শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর সপ্তাহ, তাই প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়ার কাউন্টডাউন শুরু করার জন্য এই দিনটি বিশেষ সহায়ক তো বটেই।