Football
১৯১২ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত মোহনবাগান রক্ষণ আগলে রেখেছিলেন গোষ্ঠ পাল। তাঁর মাঠ থেকে সরে যাওয়ার কারণও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই।
একটি ম্যাচে ইংরেজ রেফারির পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের প্রতিবাদে মাঠে শুয়ে পড়েন গোষ্ঠ পাল। এই কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় আইএফএ। সে কথা জানতে পেরেই খেলা ছেড়ে দেন তিনি।
তিনি মোহনবাগানের হয়ে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও টেনিস খেলেছিলেন। চারটি খেলাতেই তিনি ক্লাবের অধিনায়ক হন। কোনওদিন মোহনবাগান না ছাড়লেও, তিনি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন
১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরেই শ্যাম পার্কে একটি প্রতিযোগিতায় লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলেন গোষ্ঠ পাল। তিনিই ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম অধিনায়ক
ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলকাতায় পড়ার সময় গোষ্ঠবাবুর খেলা দেখতে যেতেন। সেই খেলা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
তিনি নিজে পদ্মশ্রীর জন্য গোষ্ঠবাবুর নাম মনোনীত করেন। প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন গোষ্ঠ পাল।
চিনের প্রাচীর গোষ্ঠ পাল সম্পর্কে তাঁর ছেলে নীরাংশু পাল বলেছেন, 'আমার বাবা ছিলেন জেল না খাটা স্বাধীনতা সংগ্রামী। খেলার মাঠে তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন।