প্রয়াগরাজে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ শুরু হবে, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই মহাকুম্ভে ৪০ কোটিরও বেশি মানুষের আগমনের আশা করা হচ্ছে। নাগা সাধুরাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
নাগাদের নিজস্ব একটি আলাদা জগৎ। তাদেরকে ধর্ম রক্ষক হিসেবে দেখা হয়। যখনই হিন্দু ধর্ম বিপন্ন হয়, তখন তারা একজন সৈনিকের মতো মরতে-মারতে প্রস্তুত থাকেন।
নাগা সাধুরা তাদের আখড়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করেন, তবে মহাদেবের পূজা প্রতিটি আখড়ার নাগারা করেন। ভগবান শিবকেই তাঁরা ইষ্টদেব মানেন।
নাগাদের মতে, তাদের ইষ্টদেব ভগবান শিবও শ্মশানে শুধুমাত্র বাঘের ছাল পরিধান করে থাকেন। নাগারাও তাঁর মতোই থাকতে পছন্দ করেন এবং কাপড় ত্যাগ করেন।
নাগা সাধুরা তাদের শরীরে সর্বদা ভস্ম লাগানো রাখেন। এটিকেই তারা পোশাক এবং শৃঙ্গার মানেন। এই ভস্মই তাদের জীবনের সার। ভস্ম লাগানোর ফলে তাদের চর্মরোগও হয় না।
নাগা সাধুদের দিগম্বরও বলা হয় যার অর্থ দিগ অর্থাৎ দিক এবং অম্বর অর্থাৎ বস্ত্র। অর্থাৎ নাগা সাধুরা এই দিকগুলিকেই তাদের পোশাক মানেন যা দিয়ে পুরো বিশ্ব ঢাকা।