সোদপুরে এক তরুণীকে চাকরির টোপ দিয়ে পাঁচ মাস আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার, পর্ন ভিডিও তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত শ্বেতা খান। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, সমাজবিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ, অতীতের অপরাধমূলক কীর্তির ইতিহাস উঠে আসছে তদন্তে।

Sodepur Girl Tortured: সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল যতটা ঝাঁ চকচকে, বাস্তব জীবন ঠিক ততটাই অন্ধকার। শ্বেতা খান (Shweta Khan) ওরফে মহসিনা বেগম ওরফে ফুলটুসির কীর্তির শেষ নেই। সোদপুরের এক তরুণীকে চাকরির টোপ দিয়ে ডেকে এনে পাঁচ মাস আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার চালানো, পর্ন ভিডিও (Porn Video) তৈরির চেষ্টার অভিযোগই শুধু নয়, শ্বেতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেশীদের পাশাপাশি শ্বেতার প্রাক্তন স্বামীও মুখ খুলেছেন। শ্বেতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সমাজবিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। তিনি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি দখল করতে গুণ্ডাদের ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৫ সালে গুণ্ডাদের নিয়ে গিয়ে গুলি চালিয়েছেন শ্বেতা। সেই সময় তিনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়ে যান এই মহিলা। এরপর তিনি ফের অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যান।

শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলেই বেপরোয়া শ্বেতা?

শ্বেতার সঙ্গে শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, সমাজবিরোধী, গুণ্ডা, অপরাধীদের সঙ্গে শ্বেতার যোগাযোগ ছিল। এই মহিলা শুধু নিজেই নন, তাঁর ছেলে আরিয়ান খানও অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোদপুরের তরুণীর উপর শ্বেতার পাশাপাশি তাঁর ছেলেও অত্যাচার চালান বলে অভিযোগ। এখনও শ্বেতা ও তাঁর ছেলের হদিশ পায়নি পুলিশ। মা-ছেলে কোথায়, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বাঁকড়ায় শ্বেতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ফ্ল্যাটের পিছন দিক থেকে চুল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে উদ্ধার হওয়া চুল নির্যাতিতার হতে পারে। সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ

ওড়িশাতেও পর্ন ভিডিও!

শ্বেতার বিরুদ্ধে ওড়িশায় গিয়েও পর্ন ভিডিও তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এই মহিলার সঙ্গে ওড়িশার এর ব্যবসায়ীর যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। বাঁকড়ার বাসিন্দারা এই মহিলার বিরুদ্ধে সরব। তাঁরা শ্বেতাকে বাঁকড়া থেকে দূর করে দিতে চাইছেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।