"জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে" -এ কথা সত্য়ি। প্রতিনিয়ত দুনিয়ায় কত দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেই চলেছে। যার ফলে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। প্রায় প্রতিদিনই আমরা খবর দেখতে পাই বড়বড় সমস্ত ট্রেন বা বিমান দুর্ঘটনা, ভূমিকম্প, বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে অসমের ভয়াবহ বন্যার কথা আমাদের সকলেরই জানা। এমন সমস্ত দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আবার প্রাণেও বেঁচে ফিরেছেন অনেকে। তবে কি তারা কপালজোড়েই বেঁচে ফিরেছেন? এই বিষয়ে কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র!
সুবিশাল এই পৃথিবীতে ছোট বড় যত ঘটনা ঘটে তার পুরোটাই নির্ভর করে গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধির উপর, এমনটাই দাবি জ্যোতিষশাস্ত্রর। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্ঘটনার ফলে যে বহুমৃত্যু হয় জ্যোতিষশাস্ত্রর মতে, কোনও জাতকের অষ্টম ভাবের অধিপতির সঙ্গে তিন বা তার বেশি গ্রহ যদি একই রাশিতে থাকে তবে সেই ব্যক্তির প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্ঘটনার ফলে আকষ্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। শুধু এই নয় যদি জাতকের অষ্টাধিপতি গ্রহর অষ্টমভাব, আয়ুস্থান, ক্ষীণ অধিপতি অস্তগত হবে, অথবা পাপদ্বারা প্রভাবিত হবে তখন সেই জাতকের প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর যোগ থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে কোনও দেশের দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্থানের নামের রাশিও নাকি এক্ষেত্রে কাজ করে। কোনও দেশের জন্মলগ্ন, সেই দেশের প্রধাণ যিনি তাঁর রাশি, গ্রহের প্রভাবের উপর নির্ভর করে। এই সব কারণ ছাড়াও জাতকের গোচর খারাপ হলে যুগপত মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।