মানুষের মৃত্যুর আগাম খবর নাকি পেয়ে যায় জীবযন্তুরা। প্যারানর্মালবিদরা এই নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করেছেন। এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা মৃত্যুর আগাম খবর জানিয়ে দিতে পারে। দেখা নেওয়া যাক, কোন কোন প্রাণী কীভাবে এই কাজটি করে-
১) কালো প্রজাপতি- কালো প্রজাপতিকে নাকি মৃত্যুর বার্তাবাহক বলে মনে করা হয়। এই সম্পর্কে একই রকমের সংস্কার বহু সভ্যতায় রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ। রাতের অন্ধকারে চরে বেড়ানো এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন।
২) বাদুড়- দক্ষিণ আমেরিকার মায়া ও অ্যাজটেক সভ্যতায় বাদুড়কে মৃত্যুর বার্তাবাহক বলে মনে করা হত। ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়। বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশেও মৃত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার প্রচলিত রয়েছে।
৩)সাদা পেঁচা- সাদা পেঁচাকে ইউরোপে মৃত্যুর বার্তাবাহক বলে মনে করা হয়। বাড়ির আশেপাশে সাদা পেঁচা উড়তে দেখলে, তাকে অনেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে রয়েছে উইচক্রাফ্ট নিয়ে ইউরোপীয়দের বহু পুরনো সংস্কার। তবে আমাদের দেশে মা লক্ষীর বাহন এই সাদা পেঁচাকে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়।
৪) কালো ঘোড়া- কালো ঘোড়াকেও মৃত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনও শবযাত্রায় কেউ যদি কোনও কালো ঘোড়াকে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, মনে করা হয় তাঁর মৃত্য অবস্যম্ভাবী।
৫)বিড়াল -বলা হয় বিড়াল মাত্রেই নাকি মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধও পায়। এই বিশ্বাস খুব প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে।
৬) কুকুর- কুকুরের আচরণও আসন্ন মৃত্যুর বার্তা দেয়। তারা এমন কোনও অমঙ্গলের আভাস পেলে কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে থাকে।
৭) শিয়াল -দিনের বেলায় যদি কোনও বাড়িতে শিয়াল ঢুকে পড়ে, তবে সেই বাড়িতে কারওর মৃত্যু সুনিশ্চিত, এমনটাই বিশ্বাস করা হয় ইউরোপে।