রাশিতত্ত্বের নিউমারলজি বা সংখ্যাতত্ব অনুযায়ী, আপনার জন্ম তারিখ শুধু একটি সংখ্যাই নয়, আপনার জীবনে এই সংখ্যার রয়েছে গভীর তাৎপর্য। জ্যোতিষীরা বলেন মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্ম তারিখের এক বিশেষ ধরণের প্রভাব রয়েছে।
একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মধ্যে আসলে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনার জন্মের তারিখের সঙ্গে আপনার চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। এই পদ্ধতিটি বেশ সহজ। কারও জন্মদিন ১ তারিখ হলে আপনার সংখ্যাও ১ হবে। কারও জন্ম তারিখ ২৬ হলে। তার সংখ্যা হবে (২+৬)= ৮। কারও জন্ম তারিখ যদি ১০ হয়, তবে তার জন্ম সংখ্যা হবে (১+০)=১। তবে যদি কারও জন্মদিন হয় ২৯ তবে সংখ্যা হবে (২+৯)= ১১ হবে। এবার এই ১১ কে আবারও যোগ করে (১+১)=২ হবে।
যে কোনও ব্যক্তির নিউমরোলজিক্যাল তালিকায় জন্ম তারিখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন আপনার জন্ম সংখ্যাটি যদি ১৫ হয়ে থাকে, তবে হিসেব অনুযায়ী আপনার জন্ম সংখ্যা হবে (১+৫)=৬। দেখে নিন সারা জীবন এই সংখ্যাটি আপনার জীবনে কী প্রভাব ফেলবে-
এই জাতক বা জাতিকার মধ্যে প্রবল আকর্ষণ শক্তি রয়েছে, যা অন্যদেরকে মুগ্ধ করে।
এরা খবুই বুদ্ধিমান হয়।
এরা শান্তপ্রিয়, তাই ঝামেলা বা অশান্তি একদম পছন্দ করে না
এদের মধ্যে অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়
অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনার জন্যই এদের শারীরিক অসুস্থায় ভুগতে হয় বেশি
এরা অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের হয়ে থাকে
এই জাতক জাতিকাদের মধ্যে সূর্য, বুধ এবং শুক্র গ্রহের প্রভাব বেশি থাকে
এরা খুব ভালো গুছিয়ে কথা বলতে পারেন, ফলে সকলের প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠে।
জীবনে যে কোনও সমস্যায় পড়লে এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা সহজেই কাটিয়ে ওঠে।
বাধা বিপত্তি থাকলেও উপার্জনের দিক এদের শুভ থাকে
শিল্পী, শিক্ষক, চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।