ধর্মীয় বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রায়শঃই মানব জীবনের যাবতীয় সমস্যাসহ অন্য ব্যক্তির সাথে পরস্পর বিপরীতমুখী চিন্তা-ভাবনাকে চিহ্নিত ও পরিচিতি ঘটানোর সুযোগ তৈরী করা হয়। অভ্যন্তরীণ শান্তি বা মানসিক শান্তি বলতে মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে অর্জিত শান্তিকে বুঝায়। অনেকেই শান্তিতে থাকাকে সুস্থ ও সভ্য মানুষের প্রতিচ্ছবি এবং চাপ ও দুঃশ্চিন্তার বৈপরীত্য হিসেবে মনে করে থাকেন। সচরাচর মানসিক শান্তিকে পরম সুখ ও সুখী জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে গণ্য করা হয়।
আরও পড়ুন- হিন্দু ধর্মের এই নিয়মগুলির রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা
চাপের প্রভাব, বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে মানসিক শান্তি তৈরী হয়। কিছু কিছু সমাজে মানসিক শান্তিকে সচেতনতা অথবা শিক্ষার প্রতীকরূপে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সাধনা, প্রার্থনা, মন্ত্র বা যোগ ব্যায়ামের নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেই এ শান্তি অর্জন করা সম্ভব। অনেক আধ্যাত্মিক অনুশীলনে নিজেকে জানা যায়। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোন ব্যক্তি কীসের মাধ্যমে মানসিক শান্তি পাবেন তা জানা সম্ভব। সেই জাতক বা ব্যক্তির রাশি অনুযায়ী জেনে নেওয়া যায় মানসিক ভাবে শান্তি পাওয়ার জন্য কোন রাশির কী করা উচিৎ।
আরও পড়ুন- রাশি অনুযায়ী কোন পোষ্য আপনার জন্য সঠিক, জেনে নিন
মেষ— নিজেকে সময় দিতে পারলে এই রাশির জাতক জাতিকারা সবথেকে বেশি খুশি হন।
বৃষ— মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য প্রাণায়াম বা ধ্যান হতে পারে এই রাশির জন্য উপযুক্ত।
মিথুন— এই রাশির জন্য সাঁতার কাটা হল মানসিক শান্তি পাওয়ার উপায়।
কর্কট— পারিবারিক শান্তি বজায় থাকলেই এই রাশির মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
সিংহ— ঘুরতে যাওয়া তা কাছে হোক বা দূরে। ঘুরতে গেলেই এদের মানসিকভাবে শান্তি পাবেন।
কন্যা— মানসিক শান্তি পেতে এই রাশির গান গাওয়া বা ছবি আঁকা উচিৎ।
তুলা— এই রাশির মানসিক শান্তি বজায় রাখা উন্নতির জন্য ব্যায়াম বা জিম করা উচিৎ।
বৃশ্চিক— ভালো মন্দ খাওয়া ও ঘুম এই রাশির জাতকদের মানসিক চাপ কাটানোর জন্য উপযুক্ত পন্থা।
ধনু— সিনেমা বা ভালো ভিডিও দেখলেই এদের মন ভালো হয়ে যায়। আর মানসিক চাপও কমে যায়।
মকর— ঈশ্বরের আরাধণা বা যে কোনও পুজোর কাজে ব্যস্ত থাকা এই রাশির মানসিক চাপ কাটানোর সহজ উপায়।
কুম্ভ— খেলাধূলো তা নিজে খেলে হোক বা খেলা দেখে, এতেই কাটবে এদের মানসিক চাপ।
মীন— এদের মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য পোষ্যর সঙ্গে সময় কাটানো উচিৎ।