দেশের সকল মানুষ নিজেদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা থেকে নিজের আরাধ্য দেব-দেবীর পুজো করে থাকেন। এই পুজো পাঠের এক অন্যতম অঙ্গ হল মন্ত্র জপ করা। সনাতনী পরম্পরায় বলা হয়ে আসছে জপের মালা হাতে নিয়ে আরাধ্য দেবতার নাম জপ করলে তার একটা বিশেষ লাভ রয়েছে। প্রত্যেক দেবতার নাম-মন্ত্র জপ করার জন্য আলাদা আলাদা মালা রয়েছে। পরম্পরা মেনেই প্রত্যেক মানুষ তাঁদের ইষ্ট দেবতার জন্য আলাদা আলাদা মালা জপ করে থাকেন।
এখানে এমন চারটি জপের মালার কথা বলা হল, যেগুলি জপ করলে আপনি আপনার আরাধ্য দেবতার আশীর্বাদ লাভ করবেন।
১) স্পটিকের মালা- স্পটিকে অনেকটা কাঁচের মতো দেখতে হয়। কাঁচ যেমন স্বচ্ছ, তেমনই এই স্ফটিকের মালাও খুবই স্বচ্ছ। দেবী সরস্বতীর সাধনাতে এই মালা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এই মালা অনেকটা কাঁচের মতো স্বচ্ছ হওয়ায় এটি ব্যক্তির মনকে শান্ত ও স্বচ্ছ করে তোলে। আরও বলা হয় যে, এই মালা জপ করার সময়ে কোনও খারাপ শক্তি আপনার আশেপাশে ঘোরাফেরা করে না। এই মালা জপ করলে একদিকে যেমন মানসিক শান্তি লাভ হয়, অন্যদিকে যিনি জপ করেন তিনি অনেক ধন-সম্পদেরও অধিকারী হন।
২) তুলসীর মালা- সনাতনী পরম্পরায় তুলসী গাছকে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়। ঈশ্বরের প্রসাদ রূপেও তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। বলা হয় যে যদি কোনও ব্যক্তি তুলসীর মালা ধারণ করেন তাহলে তাঁর ওপর ভগবান বিষ্ণুর কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে। তুলসীর মালার সাহায্যে মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তির নাম-যশ-খ্যাতি লাভ হয়।
৩) রুদ্রাক্ষের মালা- পূরাণে বলা আছে যে, রুদ্রাক্ষ হল শিব ঠাকুরের চোখের জল। প্রাচীন ধ্যানধারনা থেকেই প্রচলিত যে, রুদ্রাক্ষ খুবই পবিত্র একটি জিনিস। আর রুদ্রাক্ষ যেহেতু ভগবান শিবের সঙ্গে সম্পর্তযুক্ত, তাই কারওর ওপর যদি মহাদেবের কৃপাদৃষ্টি ধরে রাখতে হয়, তাহলে তাঁর অবশ্যই রুদ্রাক্ষের মালা জপ করা উচিত।
৪) চন্দনের মালা- একথা সকলেরই জানা যে, পুজোর জন্য চন্দর একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণ। শুধু তাই নয়, চন্দনকে অত্যন্ত শুভ বলেও মানা হয়। বৈষ্ণব পরম্পরা অনুসারে বলা হয়, মন্ত্রের জপ করার সময়ে চন্দনের মালা বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্ত্রের জপ করা হয় চন্দনের মালার সাহায্যেই। বলা হয়, যদি চন্দনের মালার সাহায্যে মন্ত্রের জপ করা হয় সেই ব্যক্তির সমস্ত মনের ইচ্ছা পূরণ হয় থাকে।