রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ সালে সূর্যগ্রহণ এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, যা ভারতের কিছু অংশে পূর্ণ অংশে এই রিং আকারে দৃশ্যমান হবে। তবে দেশের বেশিরভাগ অংশে এটি আংশিকভাবে দৃশ্যমান হবে। সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে যখন আমরা পৃথিবী থেকে এই দৃশ্য দেখি, সূর্যের বাইরের অঞ্চল আলোকিত হওয়ার কারণে আমরা এটি একটি রিং বলয়াকৃতির দেখে থাকি, যাকে আংশিক বা কৌণিক সূর্যগ্রহণও বলা হয়।
আংশিক সূর্যগ্রহণে চাঁদের ছায়া সূর্যের এক অংশে পড়ে। সূর্যের অবশিষ্ট অংশ চাঁদের এই ছায়া দ্বারা অদৃশ্য থেকে যায়। এই ধরণের পরিস্থিতিতে পৃথিবীর নির্দিষ্ট অংশে যে সূর্যগ্রহণ হয় তাকে আংশিক বা খন্দগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলা হয়। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে এই সূর্যগ্রহণকে কেবলমাত্র আংশিক বা খণ্ডিত সূর্যগ্রহণ হিসাবে দেখা যাবে। অন্যদিকে দেশের কিছু অংশে এটি পূর্ণ আকারে দেখা যাবে। এই ধরণের সূর্যগ্রহণ ১৯৯৫ সালের ২৪ অক্টোবর হয়েছিল। এই সূর্যগ্রহণ সকাল ১০ টা বেজে থেকে ১৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে শুরু হবে। এটি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে দেখা যাবে।
শাস্ত্র মতে গ্রহণ চলাকালীন কিছু কাজ না করার উল্লেখ রয়েছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রহণ চলাকালীন, সূর্যের দিকে খালি চোখে না তাকানোই ভাল, এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া গ্রহণ চলাকালীন পরিবেশে ক্ষতিকারক কিছু তরঙ্গ ও জীবানু সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার প্রভাবে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্রহণ চলাকালীন গর্ভবতী মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়া উচিৎ নয়।
গ্রহণের সময়ে শারিরীকভাবে মিলিত হওয়াও শ্রাস্ত্র মতে ভুল কাজ। কারণ, শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, গ্রহণের সময়ে মিলনের ফলে যদি সন্তান পৃথিবীতে আসে, তার চারিত্রিক দোষ থাকে। গ্রহণের সময়ে রান্নার বিষয়েও বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শাস্ত্র মতে, গ্রহণের আগে রান্না করে রাখা পদ গ্রহণের পরে খাওয়া উচিত নয়। সূর্য গ্রহণের সময় কোনও পুজো বা মাঙ্গলিক কাজ করা উচিত নয়, এতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।