জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রয়োগসূত্রগুলি কেবল সম্ভাবনা নির্দেশ করে, কিন্তু কোন নিশ্চিত ঘটনার কথা বলে না। তার কারণ এই যে জ্যোতিষীগণ মনে করেন মানুষ সচেতন কর্মের সাহায্যে অথবা ঈশ্বরের আশীর্বাদে অথবা এই দুইয়ের মিশ্রিতফলে ভাগ্য অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবর্তন করতে পারে। এই নিশ্চয়তার তারতম্যের কারণে অনেক বিজ্ঞানী জ্যোতিষশাস্ত্রকে মান্যতা দেন না।
আরও পড়ুন- এই সম্পর্কগুলি আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে, জেনে নিন রাশি অনুযায়ী
সন্তানকে নিয়ে কমবেশি চিন্তায় থাকেন সকল বাবা-মা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সন্তানের অবাধ্যতায় নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন অভিভাবক। কথা না শোনা, ঠিক মত পড়াশুনো না করা কোনও ভাবে বুঝিয়েও কোনও কথা শোনানো যাচ্ছে না সন্তানকে। মোট কথা আপনার সন্তান কথার বাধ্য নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই সকল সমস্যাগুলির অন্যতম কারন হল শাস্ত্র নির্ধারিত নিয়মেই যে যে রকম সংস্কার নিয়ে মানুষ পৃথিবীতে আসে, সেই অনুযায়ী ফল ভোগ করে। তাই কোনও সন্তানের অবাধ্য হওয়া নির্ভর করছে তার রাশিফল সহ গ্রহ এবং নক্ষত্রের অবস্থান অনুযায়ী।
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারি মাস কেমন প্রভাব ফেলবে ধনু রাশির উপর, দেখে নিন
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আপনার রাশিচক্রে যদি সন্তান বিপর্যয় থাকে তাহলে কোনও জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন। সন্তানের ছক বিচার করিয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যবস্থা করুন। পঞ্চম স্থান হল সন্তান স্থান তবে বৃহস্পতি, চন্দ্র, লগ্ন ও নবম স্থান থেকেও সন্তান সম্পর্কে বিচার করা দরকার। এই সমস্ত স্থান, ভাব ও ভাবপতি যদি শুভ গ্রহের স্থিতি, দৃষ্টি বা কেন্দ্র ও কোন যদি অশুভ গ্রহর দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে জাতক-জাতিকার সন্তানকে চিন্তা থাকে। অর্থাৎ সন্তান অবাধ্য হয়। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রথমেই সন্তানদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে ভাল করে জানার চেষ্টা করুন যে আপনার সন্তান কী চায়। যদি তার কোন সমস্যা হয় তবে সেই সমস্যা সমাধানে সন্তানের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন, এবং ভালোবেসে তাকে কাছে টেনে নিন।