ঘুম থেকে উঠেই করুন এই কাজ, সহজ টোটকায় বদলান ভাগ্যের চাকা

  • হস্তবিশারদরা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ধারণ করেন
  • ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাত দেখলে নিজের ভাগ্য নিজেই ফেরাতে পারবেন
  • সেই সঙ্গে মেনে চলুন কয়েকটি উপায়
  • জেনে নিন নিয়মগুলি

deblina dey | Published : Apr 27, 2020 6:32 AM IST

জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হল হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ণয়। হস্তবিশারদরা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এই শাস্ত্র মতে, ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাত দেখলে অনায়াসে নিজের ভাগ্য নিজেই ফেরাতে পারবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এখন আমরা প্রথমেই বেশিরভাগের উত্তর হবে মোবাইল। তবে হস্তবিশারদরা বলছেন চোখ খুলে প্রথমেই যদি আপনি নিজের হাতের দিকে একবার তাকান, তবে অনায়াসেই আপনি নিজের ভাগ্য বদলে ফেলতে পারবেন। এর জন্য প্রতিদিন সকাল ঘুম থেকে উঠে কিছু সময়ের জন্য নিজের দুই হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে নমষ্কার করুন।

আরও পড়ুন- কোন পেশা আপনার জন্য উপযুক্ত, জেনে নিন রাশি অনুয়ায়ী

 শাস্ত্র মতে, মনে করা হয় হাতের তালুর উপরিভাগে থাকেন মা লক্ষ্মী, মধ্যভাগে থাকেন মা সরস্বতী ও নীচের অংশে বাস করেন ভগবান বিষ্ণু। এই কারণে সকালে উঠে সবার আগে নিজের হাত দেখে তবেই দিন শুরু করার পরামর্শ দেন হস্তবিশারদরা। 
একই সঙ্গে জন্তু ও পাখিদের খাওয়ান। হিন্দু শাস্ত্র মতে মনে করা হয় গরু অত্যন্ত পবিত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাহন। তাই গরুকে খাওয়ালে সমস্ত দেবতা সন্তুষ্ট হন অবং তাঁধের কৃপাদৃষ্টি আপনার উপর বজায় থাকবে। 
এছাড়াও যে কোনও জন্তু ও পাখিদের খাওয়ানোর মানেই ঈশ্বরের সেবা। 
এছাড়া কোনও শুভ কাজে বেরনোর আগে বড়দের প্রণাম করে তারপরেই বাড়ি থেকে বের হন। এতে আপনার রাশির বীপরিতে থাকা সমস্ত গ্রহগুলি রাশির অনুকূলে হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে শুভ ফল দেয়। 
বড়দের আশীর্বাদ নিয়ে তবেই কোনও কাজ শুরু করুন। নিজের ভাগ্য ফেরাতে ময়দার লেচির মধ্যে চিনি মিশিয়ে ছোট ছোট গুলির আকারে তৈরি করে পিঁপেড়ের উদ্দেশ্যে রেখে দিন। এতে সমস্ত পাপের মুক্তি ঘটে। এই পূণ্য কাজের জন্য সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। 

আরও পড়ুন- মহিলারা বেশি আকৃষ্ট হন এই ৩ রাশির পুরুষের প্রতি, দেখে নিন সেই তালিকায় রয়েছে কোন রাশিগুলি

অনেক সংস্কৃতির মধ্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়, চীনা ও মায়া সভ্যতার অধিবাসীগণ মহাকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পার্থিব ঘটনাগুলির ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এই বিষয়ের চর্চা এবং উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। পশ্চিমে, জ্যোতিষশাস্ত্র প্রায়ই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ব্যাখ্যা করার জন্য এবং তার জন্মের সময় সূর্য, চন্দ্র, এবং অন্যান্য জ্যোতিষ্কগুলির অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তার জীবনের ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য ব্যবহৃত হত। জ্যোতিষশাস্ত্র অতি প্রাচীন এবং এটি বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সভ্যতার মানবগোষ্ঠির দ্বারা চর্চিত, পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে। তাই কোন একটি বিশেষ সময়কে জ্যোতিষশাস্ত্রের সৃষ্টিকাল হিসেবে চিহ্নিত করা যুক্তিযুক্ত নয়।

Share this article
click me!