ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বব্যাপী। মানুষের করতল এবং তার ভেতরের রেখাসমূহ দেখে তার ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান বেশ সহজেই অনুমান করা যায় । হাজার হাজার বছরেরও পূর্ব থেকে ভারতে এই জ্যোতিষ বিদ্যা ও সামুদ্রিক বিদ্যা চলে আসছে । হস্তরেখাবিদ্যা হাত ও হাতের রেখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কারও মানসিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের শুভাশুভ নির্ধারণ করার বিদ্যা। প্রাচীন ব্যাবিলন ও চালদিয়া অঞ্চলে এ বিদ্যার শুরু বলে মনে করা হয় এবং সেখান থেকে তা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- এপ্রিল মাস কেমন প্রভাব ফেলবে বৃষ রাশির উপর, দেখে নিন
তারপর কালক্রমে যত দিন যেতে থাকে, ততই এই বিদ্যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, প্রাতঃস্মরণীয় জ্যোতিষী বরাহমিহিরেরও আগে এই শাস্ত্রের প্রচলন । তারপর বিভিন্ন মনীষী এই বিষয় নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন । তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সারা পৃথিবীর মধ্য জ্যোতিষচর্চ্চা , সামুদ্রিক বিচার অর্থাৎ হস্তরেখা বিচার প্রভৃতি সর্বপ্রথম শুরু হয় ভারতবর্ষে । তারপর ভারত থেকে আরব-বণিকদের মাধ্যমে এই বিদ্যা আরবে ছড়িয়ে পড়ে । তারপর মিশরে পৌঁছায় এবং অনেক উন্নত হয় । ক্রমে মিশর থেকে গ্রীস, রোম এবং অন্যান্য দেশ গুলিতে এই শাস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে ।
আরও পড়ুন- কর্কট রাশির কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, দেখে নিন আপনার রাশিফল
যারা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গণনা বিশ্বাস করেন তারা এবং হস্তরেখাবিদদের অনেকেই মনে করেন হাতের রেখায় চতুর্ভুজ চিহ্ন স্পষ্টভাবে থাকলে সেটি রক্ষা কবচের মত কাজ করে। যদি হাতের রেখায় এই চতুর্ভুজ হালকা অর্থাৎ অস্পষ্ট ভাবে থাকে তাহলে জাতক বা জাতিকা ভীতু ও চঞ্চল স্বভাবের হয়। হৃদয়রেখা ও শিরোরেখার মাঝখানে তৈরি হওয়া চতুষ্কোণ ক্ষেত্রকে বলা হয় বৃহৎ চতুর্ভুজ। এই রেখাটি হৃদয়রেখা ও শিরোরেখার সঙ্গে ভাগ্যরেখা ও স্বাস্থ্যরেখার মিলে তৈরি হয়। মনে করা হয় এই চিহ্ন সমস্ত রকম অশুভ যোগ থেকে রক্ষা করে। হাতের রেখায় চতুষ্কোণ সমান এবং স্পষ্টভাবে চওড়া হলে সেই জাতক বা জাতিকা জীবনে শুভ ফল পায়। আবার যদি এই চতুষ্কোণের সঙ্গে হাতে শুক্র-বন্ধনী থাকে, তাহলে নাম যশের পাশিপাশি যে কোনও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রচুর আয় করে বিখ্যাত ও ধনী হয়। আর যদি রবির ক্ষেত্রের দিকে বেশি চওড়া হয় তাহলে নিজের খ্যাতি ও প্রতিপত্তির দিকে বেশি নজর থাকে সেই সঙ্গে রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। যদি এই চিহ্ন শনির দিকে বেশি চওড়া হয় তবে আধ্যাত্মিক জগৎ-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।