জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি হিসাবে বিনায়ক চতুর্থী ২৬ মে মঙ্গলবার পালিত হবে। এই দিন গণেশের পুজো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চতুর্থী তিথিতে বিশেষত মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে গণেশ পুজো হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে বিকেলে ভগবান গণেশের জন্ম হয়েছিল। তাঁর উপস্থিতির ফলে বিশ্বে একটি পবিত্রতার অনুভূতির উৎপত্তি হয়েছিল। যার পরে ব্রহ্মদেব চতুর্থী তিথিকে এই গুরুত্বপূর্ণ তিথি হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। গণেশ পুরাণ অনুসারে, গণেশকে খুশি করার জন্য প্রথম চাঁদ চতুর্থী পালন করেছিলেন। মঙ্গলবার এবং চতুর্থী তিথিতে উপবাস ও উপাসনা ঋণ ও রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
গণেশ পুরাণ: চাঁদ গণেশ চতুর্থী উদযাপন করেছিলেন। চাঁদ তাঁর সৌন্দর্যে খুব গর্বিত ছিলেন এবং গণেশের বিশেষ আকৃতি দেখে তিনি খুব ঠাট্টা করেছিলেন। এর পরে গণেশ তাঁকে অভিশাপ দিলেন। চাঁদ তখন অনুশোচনা করেছিলেন এবং গণেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। গনেশ তাঁকে শাপ মুক্ত করার জন্য পূর্ণ ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে চতুর্থীতে উপবাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময় চাঁদই প্রথম গণেশ চতুর্থী পালন করেছিলেন।
চতুর্থীতে কী করবেন- চতুর্থীতে ভোরে উঠে স্নানের পরে সূর্য দেবের উদ্দেশ্য জল উত্সর্গ করুন। এর পরে বাড়িতে বা মন্দিরে গণেশের পুজো করুন। গণেশ মূর্তির পা ছবিতে অভিষেক করে তারপর উপাসনা করুন। গনেশকে ফুল এবং দুর্ব্বা অর্পণ করুন। গনেশ মন্দিরে ব্রোঞ্জের পাত্রে গুড় এবং ধনিয়া রেখে দান করুন। সম্ভব হলে ৩ থেকে ৫ জন ব্রাহ্মণ সেবা করান। অন্তত ফল, মিষ্টি, জল এবং একটি করে পৈতে দান করুন।
কী করবেন না- চতুর্থীতে চন্দ্র দর্শনের আগে খাদ্য গ্রহণ করবেন না। এই উপবাস চলাকালীন দিনের বেলায় ঘুমানো উচিত নয়। চন্দ্র দর্শন শেষে, নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন।
ব্রহ্মাচার্য এই দিন পালন করা উচিত। স্বামী-স্ত্রীর একই বিছানায় ঘুমানো উচিত নয়। পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া উচিত নয়। পুজোর সময় গণেশ কে তুলসী দেওয়া উচিত নয়।