চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে জন্ম হয়েছিল ভগবান হনুমানের। সে কারণে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে এবছর ১৬ এপ্রিল শনিবার পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। এই দিন বজরংবলীকে এই পাঁচ প্রকার ভোগ নিবেদন করতে পারেন।
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে জন্ম হয়েছিল ভগবান হনুমানের। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ধর্মানুসারে, পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেন ভগবান হনুমান। সে কারণে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে এবছর ১৬ এপ্রিল শনিবার পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। এই দিন বজরংবলীকে এই পাঁচ প্রকার ভোগ নিবেদন করতে পারেন।
লাড্ডু
হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বুন্দি লাড্ডু ভোগ নিবেদন করতে পারেন ভগবান হনুমানকে। নরম ও রসালো হয় এই লাড্ডু। বেসন, ঘি, গোলাপ জল, লেবুর রস দিয়ে বানানো হয় লাড্ডু। যা খুবই সুস্বাদু। আর পুজোর দিন এই লাড্ডু ভগবান হনুমানককে অর্পন করতে পারেন।
খীর
পায়েস অথবা খীর নিবেদন করতে পারেন ভগবান হনুমানকে। বাসমতি চাল, দুধ, কেশর, চিনি, দুধ, বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় এই খীর। খুব সহজেই এই ভোগ তৈরি করা সম্ভব। প্রচলিত আছে, খীর ভোগ নিবেদনে ভগবান হনুমান প্রসন্ন হবেন।
জিলিপি
হনুমান জয়ন্তীর দিন জিলিপি ভোগ নিবেদন করতে পারেন। ভগবান হনুমান জিলিপি-তে প্রসন্ন হন। এতে ইমারতিও বলা হয়। ডাল, ময়দা, ঘি, চিনি, জাফরান দিয়ে জিলিপি বানানো সম্ভব। একটি পাত্রে জল নিয়ে সারা রাত তাতে ডাল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এবার প্রথমে চিনি দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। অন্যদিকে, ভিজিয়ে রাখা ডাল বেটে নিন। তার সঙ্গে মেশান ময়দা, জল, জাফরান, এলাচ গুঁড়ো। উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে লেই বনান। এবার কড়াইলে তেল গরম হলে এই মিশ্রণ জিলিপির আকারে দিয়ে ভেজে নিন। এবার তা তুলে চিনি দিয়ে তৈরি সিরাপে ডুবিয়ে রাখুন।
মুগ ডালের হালুয়া
হনুমান জয়ন্তীর দিন মুগ ডারে হালুয়া নিবেদন করতে পারেন। মুগ ডাল, ঘি, সুজি, দুধ ও চিনি দিয়ে এই হালুয়া বানানো সম্ভব। সারা রাত মুগ ডাল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা বেটে নিন। এবার বাকি উপকরণ দিয়ে সহজ পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলুন মুগ ডালের হালুয়া।
প্যারা
হনুমান জয়ন্তীর দিন ভগবানের কৃপা পেতে তাঁকে প্যারা নিবেদন করুন। অধিকাংশ হিন্দু উৎসবে প্যারা নিবেদনের রীতি প্রচলিত আছে। দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে প্যারা তৈরি করা সম্ভব। প্রথমে ননস্টিকের প্যানে দুধ বসিয়ে জাল দিন। তা ঘন হয়ে এলে চিনি ও এলাচ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে ঘর হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে তা প্যারার আকার দিন। এই প্যারা নিবেদন করুন বজরংবলীকে।
আরও পড়ুন- জৈন ধর্মের প্রধান উৎসব মহাবীর জয়ন্তীর শুভ তিথি, পূজা পদ্ধতি ও গুরুত্ব সম্পর্কে
আরও পড়ুন- পয়লা বৈশাখে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, বাধা কাটিয়ে সংসার ভরিয়ে তুলুন সুখ ও সমৃদ্ধিতে
আরও পড়ুন- বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসব গাজনের মেলা, চৈত্র সংক্রান্তিতে জেনে নিন বাংলার এই উৎসবের গুরু