হিন্দুশাস্ত্রে মৃত্যুর পরেও একটা জীবন রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। যেখানে বিচার হয় বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষের পাপ আর পূর্ণ্যের। কিন্তু মৃত্যুর পরে নরক যন্ত্রণা এড়াতে মৃত্যুর আগে অনেক গুলি কাজের কথা বলা হয়েছে হিন্দুশাস্ত্রে। মেন করা হয় এই কাজগুলি করলে মৃত্যুর পরে আর নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। গড়ুর পুরাণেই বর্ণিত রয়েছে সেই সব তথ্য।
হিন্দুশাস্ত্রে মৃত্যুর পরেও একটা জীবন রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। যেখানে বিচার হয় বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষের পাপ আর পূর্ণ্যের। কিন্তু মৃত্যুর পরে নরক যন্ত্রণা এড়াতে মৃত্যুর আগে অনেক গুলি কাজের কথা বলা হয়েছে হিন্দুশাস্ত্রে। মেন করা হয় এই কাজগুলি করলে মৃত্যুর পরে আর নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। গড়ুর পুরাণেই বর্ণিত রয়েছে সেই সব তথ্য।
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী মানুষ মৃত্যুর আগেই বুঝতে পারেন,যে তাঁর মৃত্যু আসন্ন। আর সেইকারণেই মৃত্যুর আগে মানুষ সর্বদা ভগবানের নাম করেন। রোগগ্রস্ত ব্যক্তিও মৃত্যুর আগে দেবতার চিন্তা করেন। ইষ্টদেবতার নাম জপ করেন। কিন্তু শুধু ভগবানের নাম জপ করলেই হবে না- শাস্ত্র অনুযায়ী বেশ কিছু বিধান মেনে চলতে হয়।
অষ্টদান
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী মৃত্যুকালে ও জন্ম গ্রহণের সময় দান করার কথা বলা হয়েছে। অষ্টদান মানুষকে পাপমুক্ত করে। যার মধ্যে রয়েছে তিল। এই সময় তিল দান করা শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়।
দান করা জরুরি
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী অষ্টদান জরুরি। এই অষ্টদানের মধ্যে রয়েছে - তিল, লোহা , সোনা, বস্ত্র, নুন । আর রয়েছে সপ্তধন- ধান,জব, গম, মুগ, বিউলি, কাকুন, ছোলা। জন্ম ও মৃত্যুর সময় কাউকে ভূমি দান করা শুভ বলে প্রতিপন্ন হয়। গরু দান হিন্দুধর্মে সর্বদাই শুভ।
কী দান করলে কী ফল পাবেন - জানুন
বিষ্ণ বলেছিলেন তাঁর শরীরে ঘাম থেকে উৎপন্ন হয়েছে তিল। তিল দান করলে দেবতা অষুর আর দানব সকলেই তুষ্ট হয়। তিল দানে যে কোনও তিনটি পাপ দূর হয়।
লোহা
মাটিতে হাত রেখে লোহা দান করা উচিৎ। লোহ দানে তুষ্ট হন যমরাজ। মৃতের আত্মা শান্তি পায়।
সোনা
সোনা দান করতে চুষ্ট হয় ব্রহ্মা। মৃত ব্যক্তির পরিবার স্বর্ণ দান করলে তার আত্মা শান্তি পায়। অন্যদিকে কারও জন্মের সময় সোনা দানও শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী সোনা দানে সদ্যোজাত জীবনের পথ মসৃণ হয়।
বস্ত্র
বস্ত্র বা তুলা যে কোনও সময়ই দান করা যায়। এটি শুভ বলে মনে করা হয়।
নুন
নুন বা লবণ দান করলে মন ভয় মুক্ত হয়। এগুলিতে সন্তুষ্ট হন চিত্রগুপ্ত।
সপ্তধন
সপ্তধন দান করলে ধর্মরাজ খুশি হন। জীবনের বাধা দূর হয়।
ভূমি ও গরু
এই দুটি জিনি, দান হিন্দুশাস্ত্রে শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ দেবতারা এতে তুষ্ট হয়। জীবনের পথ যেমন মসৃণ হয়। তেমনই মৃত্যুর পর স্বর্গের দরজা খুলে যায়।