বারবার দুর্ঘটনার শিকার হন? কোনও রত্ন বা পাথর ধারণ নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রে রয়েছে খুব সহজ উপায়

জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গল, শনি ও রাহুকে দুর্ঘটনাজনিত গ্রহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই তিনটি যদি রাশিফলের ভুল অবস্থানে থাকে তবে ব্যক্তিটি প্রায়শই আঘাত পান।

দুর্ঘটনা কখনও কখনও ছোটখাটো আঘাতের দিকে নিয়ে যায়, তবে কখনও কখনও তা মারাত্মক প্রমাণিত হয়। বারবার দুর্ঘটনা ঘটলে তা এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। কুণ্ডলীতে মঙ্গল, শনি, রাহুর অশুভ অবস্থান এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়ক দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট আঘাত ছাড়াও কিছু আঘাতের কারণে অনেক সময় রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এই ব্যক্তিদেরও এই দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত কারণ রাশিফলের অশুভ গ্রহগুলি এর পিছনে কারণ।

প্রতিটি মানুষের জীবন নানান সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও জীবনে বাধা বিপত্তি আসতে পারে, যেমন দুর্ঘটনা। রাশিচক্রে দুর্ঘটনা বিচারের সময় দেখে নিতে হবে প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা আছে কিনা! সধারনত, রাশিচক্রে যে সব গ্রহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, ওই গ্রহের দশান্তদশায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল থাকে।

Latest Videos

দুর্ঘটনা যোগ তৈরি করে গ্রহ 
জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গল, শনি ও রাহুকে দুর্ঘটনাজনিত গ্রহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই তিনটি যদি রাশিফলের ভুল অবস্থানে থাকে তবে ব্যক্তিটি প্রায়শই আঘাত পান। শনি, মঙ্গলের অশুভ প্রভাব সড়ক দুর্ঘটনা, পতন বা অন্য কোনো কারণে ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়। কখনও কখনও অপ্রয়োজনীয় মারামারি মারধরের ঘটনাও জীবনে ঘটে। আবার অন্যান্য কারণেও ব্যক্তির শরীর থেকে রক্তপাত হতে পারে। এমতাবস্থায় এসব পরিস্থিতি এড়াতে গ্রহ-শান্তির পাশাপাশি অন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া ভালো।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, দুর্ঘটনার জন্য মূলত অষ্টম ভাবকে দায়ী মনে করা হয়। আবার গ্রহর বিচারে দেখতে গেলে মুখ্য কারক মঙ্গল, শনি, রাহু, কেতু ও চন্দ্রের প্রভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার বিচারে চন্দ্র খুব দুর্বল নির্দেশক। কারণ, একমাত্র চন্দ্র ভ্রমণে বা জলে দুর্ঘটনা নির্দেশ করে। তবে প্রধানত মঙ্গলই হল দুর্ঘটনার কারক গ্রহ। এ বার দেখে নেওয়া যাক দুর্ঘটনা কখন এবং কেন হতে পারে।

রক্তদান দুর্ঘটনা রোধ করবে
যদিও এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে জ্যোতিষশাস্ত্রে অনেক প্রতিকার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল রক্তদান। রক্তদান করলে মানুষের শরীর থেকেও রক্ত বের হয় এবং কারো জীবনও বাঁচে। তাই রক্তদানকে মহাদানও বলা হয়। রক্তদানের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহের যোগ সমাপ্ত হয় এবং ব্যক্তি আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকেও রক্ষা পায়। এছাড়া রক্তদান করলে শরীর সুস্থ থাকে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury