চাণক্য একজন শিক্ষকের পাশাপাশি একজন মহান বিদ্বানও ছিলেন। চাণক্য নিজে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে চাণক্য এই তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা দেন। চাণক্য প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতেন এবং এর প্রভাবগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করতেন। চাণক্য রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজবিজ্ঞান খুব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন। চাণক্যও তার জ্ঞানকে অভিজ্ঞতার পরীক্ষার নিরিখে বিচার করেছিলেন এবং তার নীতিতে তিনি যা অনুভব করেছিলেন তা লিপিবদ্ধ করেন।
চাণক্য বিশ্বাস করেছিলেন যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দৃঢ় এবং স্থিতিস্থাপক। স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ক নির্ভরতা এবং উত্সর্গের অনুভূতিতে স্থির থাকে। স্বামী-স্ত্রী যারা এই সম্পর্কের দর্শন বোঝেন, তাদের জীবন সুখে ভরপুর। বৈবাহিক জীবনকে চাণক্যের এই জিনিসগুলি সম্পর্ককে দৃঢ় করে তোলে।
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস- চানক্যের মতে যে কোনও সম্পর্কের প্রথম শর্ত হ'ল বিশ্বাস। যতক্ষণ না কোনও সম্পর্কের প্রতি আস্থা বজায় থাকে ততক্ষণ কোনও সম্পর্কই দৃঢ় হতে পারে না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও একই রকম। এই সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে স্থির থাকে, তাই এটি কখনই ভাঙা উচিত নয়।
একে অপরের প্রতি সম্মান - চাণক্যের নীতি অনুসারে স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি অনুগত হওয়া উচিত এবং একে অপরের প্রতি সম্মানের কোনও ঘাটতি থাকা উচিত নয়। বৈবাহিক জীবনে শ্রদ্ধার স্বতন্ত্রবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সমান সম্মান থাকে। যে দম্পতি এটি ভুলে যায়, তাদের ঝামেলা তাদের জীবনে প্রবেশ শুরু করে।
একে অপরের শক্তি হওয়া- চাণক্য নীতি অনুযায়ী স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের শক্তি হওয়া উচিত। স্বামী যেখানে দুর্বল হয়ে যায়, সেখানে স্ত্রীকে ঢাল হিসাবে দেখা উচিত। যেখানে স্ত্রী দুর্বল হয়ে যায়, স্বামীর উচিত দৃঢ় প্রাচীরের মতো দাঁড়ানো উচিত। চাণক্যের মতে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনুভূতি এমনকী সবচেয়ে বড় সংকটও কাটিয়ে উঠতে খুব সহজেই সম্ভব বয়। এই জাতীয় দম্পতি জীবনে সর্বদা সাফল্য অর্জন করেন।