আমরা প্রায় প্রতিদিন স্বপ্ন দেখলেও, সে সম্পর্কে এই তথ্যগুলো প্রায় অজানাই ছিল। অথচ তথ্যগুলো ভীষণ বাস্তব ও মজাদার।
কারও ঘুম (Sleep) কম, কারও বেশি। কেউ শুলেই গভীর ঘুমে (Deep Sleep) আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, কারও আবার ঘুম এতটাই পাতলা সামান্য শব্দেই ভেঙে যায়। কিন্তু যখন যেমন ঘুমই হোক না কেন তাতে স্বপ্ন (Dreams) বাধ্যতামূলক। অনেক স্বপ্নের সঠিক অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। এই প্রত্যেকটি স্বপ্নের কোন না কোন অর্থ থাকে যা আমরা জানিনা। এই স্বপ্নগুলি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার দিকগুলি তুলে ধরে।
স্বপ্ন আমাদের জীবনের সবচেয়ে রহস্যময় ও মজার অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। রোমান সাম্রাজ্যের আমলে স্বপ্নকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো । সম্রাট যা স্বপ্নে দেখতেন, তা বিশ্লেষণ করতেন রোমের সেরা পণ্ডিতরা। তখন স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। অনেক সময় মনে করা হতো স্বপ্ন হচ্ছে ঈশ্বরের পাঠানো বার্তা। আবার বলা হয়, অনেক শিল্পীই তাদের সৃজনশীল আইডিয়া স্বপ্নের মাধ্যমে পান।
স্বপ্ন সম্পর্কে নানা মজাদার তথ্য বিজ্ঞানীরা তুলে ধরেছেন। আমরা প্রায় প্রতিদিন স্বপ্ন দেখলেও, সে সম্পর্কে এই তথ্যগুলো প্রায় অজানাই ছিল। অথচ তথ্যগুলো ভীষণ বাস্তব ও মজাদার। সেগুলি জানলে মনে হবে, সত্যিই তো, এসব তো স্বপ্নে ঘটে।
অন্ধ মানুষেরাও স্বপ্ন দেখতে পান। যারা জন্মগত অন্ধ তারা স্বপ্নে কোনো ছবি দেখতে পান না। তাদের স্বপ্নে অন্য অনুভূতি, যেমন- শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ ও আবেগ কাজ করে এবং এ স্বপ্ন অন্য মানুষদের স্বপ্নের মতোই প্রাণবন্ত হয়।
আপনি কখনোই একই সঙ্গে নাক ডাকতে এবং স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।
স্বপ্নের ৯০ শতাংশ ঘটনাই আপনি ভুলে যাবেন।
সব মানুষই স্বপ্ন দেখেন। যদি মনে করা হয় আপনি স্বপ্ন দেখেন না, এর মানে স্বপ্নের কথা আপনার মনে নেই।
আপনি স্বপ্নের মধ্যে শুধু পরিচিত মানুষদের চেহারাই দেখতে পান। স্বপ্নে যাকে দেখেন বাস্তব জীবনেও তাকে অবশ্যই দেখেছেন। হতে পারে তার চেহারা আপনার মনে নেই, অথবা সেটি কার্টুন চরিত্র।
মানুষ ঘুমের মধ্যে গড়ে চার থেকে সাতটি স্বপ্ন দেখেন এবং গড়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেটে যায়।
পশু-পাখিরাও স্বপ্ন দেখে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন- স্বপ্ন দেখার সময় মানুষের মস্তিষ্কে যেরূপ তরঙ্গ প্রভাহিত হয়, বিভিন্ন প্রাণীদের ঘুমের মধ্যেও একই তরঙ্গ প্রভাহিত হতে দেখা যায়।
মানুষ তার জীবনের প্রায় ছয় বছর স্বপ্ন দেখে পার করেন।
অধিকাংশ মানুষই স্বপ্নে রং দেখতে পান। তবে আগে ব্যাপারটা এরকম ছিল না। ১৯১৫ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন- মানুষের স্বপ্নের অধিকাংশই সাদা-কালো। কিন্তু ১৯৬০ সালের পর থেকে ব্যতিক্রমী ফলাফল পাওয়া গেল। দেখা যায়, মাত্র ৪.৪ শতাংশ মানুষ সাদা-কালো স্বপ্ন দেখেন। মনে করা হয়, রঙিন টেলিভিশন আবিষ্কারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে।
স্বপ্নের মধ্যে যে অনুভূতিটা সবচেয়ে বেশি কাজ করে, তা হচ্ছে উদ্বেগ।