পূজার সময় কোনও কলসীতে নারকেল বা ডাব রাখার রীতি রয়েছে ভারতের হিন্দুদের মধ্যে। কোনও শুভকাজের আগে নারকেল ভাঙা শুভ বলেও মনে করা হয়।
ভারতের প্রাচীন ফলগুলির মধ্যে অন্যতম হল নারকেন। বেদ-পুরাণের যুগেও নারকেল ব্যবহৃত হত। সেই সময়ই যাগযজ্ঞসহ একাধিক পুন্যকাজে বা আহুতি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত নারকেল। এখনও নারকেলের ব্যবহার দেখা যায়। এটি ফল হিসেবে ব্যবাহার করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি গৃহসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও এটি। নারকেলের অপর একটি নাম শ্রীফল। হিন্দুশাস্ত্রের নারকেল যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই জ্যোতিষশাস্ত্রেও এটির গুরুত্বপূর্ণ। পূজা থেকে শুরু করে একাধিক আচার অনুষ্ঠানে নারকেলের ব্যবহার হয়। তাই নারকেলকে পবিত্র ফল হিসেবেও গন্য করা হয়।
পূজার সময় কোনও কলসীতে নারকেল বা ডাব রাখার রীতি রয়েছে ভারতের হিন্দুদের মধ্যে। কোনও শুভকাজের আগে নারকেল ভাঙা শুভ বলেও মনে করা হয়। নারকেলের মাধ্যমে একাধিক রোগেরও উপশম হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সেই সময় নারকেলের ব্যবহার কেমন হবে তা নিয়ে রয়েছে বিস্তারিত তথ্যঃ
রোগ নিরাময়ে নারকেল
জ্যোতিষ মতে কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই রোগে ভুগছেন সেইসব রোগীদের নিত্যদিন হনুমানের পুজো করা জরুরি। ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে নারকেলের ব্যবহার করতে পারেন। নারকেলের ওপর একটি লাল কাপড় বেঁধে তারপর রোগীর শরীরের চারপশে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটার মধ্যে সাতবার ঘুরিয়ে দিন। তারপর নারকেলটি একটি স্থানে রেখে দিন। পরে সেটি বিসর্জন দিতে পারেন।
আর্থিক উন্নতিতে নারকেল
আপনি কঠোর পরিশ্রম আর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছেন- এমন নয় নারকেল ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থের দেবি বা লক্ষ্মীপুজো করবেন। বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণীপুজোর পর একটি নারকেল হলুদ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেবীর পায়ে অর্পন করুন। এতে ভগবান বিষ্ণুও প্রসন্ন হবে। সফল্যের সব দরজা খুলে যাবে।
কুনজর দূর করে নারকেল
বাড়িতে কোনও খারাপ দৃষ্টি বা অশুভ শক্তি প্রভাব পড়লে অবশ্যই নারকেলের ব্যবহার করুন। নারকেল নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। একটি নারকেল নিন সেটি বাড়ির দরজায় তিন বার ঘুরিয়ে তারপর আছাড় মেরে ভেঙে ফেলুন। নারকেল যদি সমান দুটো টুকরো হয় তাহলে ভালো ফল পাবেন। কিন্তু খেয়াল রাখুন নারকেল যখন কখনই তিন টুকরে না হয়।