রাখি উৎসব সোমবার, ২ আগস্ট। এবার করোনার মহামারির কারণে অনেক জায়গায় লকডাউন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি বাজারের রাখি না পাওয়া যায়, তবে বোনরা বাড়িতে বৈদিক রাখি তৈরি করতে পারেন এবং ভাইয়ের হাতে বেঁধে রাখতে পারেন। জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে বৈদিক রাখি তৈরির জন্য রেশম কাপড়, চাল, দুর্বা, সরিষা, চন্দন, জাফরান এবং স্বর্ণ বা রৌপ্যের ছোট মুদ্রার প্রয়োজন। এই জিনিসগুলি দিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধলে আপনার ভাইকে সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। জেনে নিন বৈদিক মতে রাখি বাঁধার নিয়ম ও রীতিগুলি যা আপনার ভাইকে রক্ষা করবে।
রাখি উৎসবের এক অন্য বিশেষত্ব রয়েছে পূরাণে। শুভদ্রাও শ্রীকৃষ্ণের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন এই একই নিয়ম মেনে। একজন মনে মানসিক শক্তি নিহিত হাতে ভাইয়ের হাতে এই রাখি বাঁধার সময়, যাতে তাঁর ভাই-কে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে না পারে। মনে করা হয় এই সংসারে মায়ের পরেই থাকে দিদি বা বোনের স্থান। মায়ের পরে দিদি বা বোনই এমন এক সম্পর্ক যে তাঁর ভাইকে মন প্রাণ দিয়ে আগলে রাখে নিজের সন্তানের মত। তাই এই পবিত্র উৎসব পালনে এবং নিজের ভাই এর সার্বিক কল্যানের জন্য জেনে নিন রাখি বন্ধনের বিশেষ এই নিয়মগুলি-
চাল - রাখি বাঁধার সময় যে থালা তৈরি করা হয় তাতে অবশ্যই সামান্য আতপ চাল রাখুন। যে কোনও মাঙ্গলিক কাজে চাল ব্যবহার করা হয়। পুজোর সময় চালের ব্যবহারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাখির সঙ্গে অখণ্ড চাল বাঁধার অনুভূতি হ'ল ভাই ও বোনের ভালবাসা সর্বদা অটুট থাকা।
জাফরান - জাফরানের গুণগত মান হ'ল এর একটি পাতাও এর সুগন্ধ ও রঙ ছড়িয়ে দেয়। একই ভাবে রাখির সঙ্গে জাফরান বেঁধে দেওয়ার অনুভূতি হ'ল ভাইয়ের গুণাবলীরও বৃদ্ধি হওয়া উচিত এবং তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে।
চন্দন - চন্দন শীতলতা প্রদান করে। এর অনুভূতিটি হ'ল ভাইয়ের মন সব সময় শান্ত রাখা। তার ক্রোধ পরিণত হয় নি এবং শীতলতা বজায় ছিল।
সরিষার দানা - আয়ুর্বেদে সরিষার খুব গুরুত্ব রয়েছে। এর তেল ত্বককে উজ্জ্বল করে। এর ব্যবহার দ্বারা অনেক রোগ সুরক্ষিত থাকে। রাখিতে সরিষা রাখার কারণ হ'ল ভাইদের সকল প্রকার কুফল থেকে রক্ষা করা।
সোনার বা রৌপ্য মুদ্রা - এই ধাতবগুলি মহালক্ষ্মীর বিশেষ পছন্দ। রাখির সঙ্গে এই মুদ্রাগুলি রেখে বোনের ইচ্ছা যে ভাইয়ের জীবন কোনওদিন যেন অর্থের অভাব না হয়। সে সব অর্থ সুখ পায়।