প্রতিটি ধর্মের ক্ষেত্রেই মৃতদেহের এই শেষকৃত্যে থাকে নিকট আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তিরা। এই দৃশ্য অতি সাধারণ ঘটনা। রাস্তায় চালাফেরা করতে গিয়ে প্রায়ই আমরা দেখতে পাই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য। বিভিন্ন ধর্মের এই শেষকৃত্যের ভিন্ন নিয়ম বা বিধি রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ধর্মের ক্ষেত্রেই তাই শেষকৃত্য কাজে যুক্ত থাকাকে পুণ্যলাভ বলে মনে করা হয়। তাই যদি কখনও চলতি পথে মতৃদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন দৃশ্য দেখতে পান, তবে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি। হিন্দুশাস্ত্র মতে মতৃদেহ দেখে এই নিয়মগুলি মেনে চললে পুণ্যলাভ হয়-
আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে ধনু রাশির উপর, দেখে নিন
শবদেহ দাহ করলে বা শবদেহ দেখতে গেলে আমরা ফেরার পর শরীর অপবিত্র ভেবে স্নান করি অথচ এটা কুসংস্কার ও শাস্ত্র বিরুদ্ব। মহর্ষি গৌতম তাঁর ন্যয়সূত্রে লিখেছেন"মৃতদেহল দাহ করলে শরীরে কোন পাপ বা অশৌচ লাগে না"। স্নান করতে বলার কারণ হল শ্মশানে দেহ করতে গিয়ে যদি শরীরে ময়লা বা জীবানু লেগে থাকতে পারে তাই স্নান করার রীতি রয়েছে। শেষকৃত্যে থাকা পূণ্য বলে মনে করা হয়। এই কাজকে সৎকার বলা হয়। "সৎ"অর্থ ভাল এবং "কার"অর্থ কাজ,। সৎকারে সাহায্য করা হল পরম তপস্যা ।
রামচরিতমানস অনুসারে, মত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনার জন্য রামনাম জপ করুন। শবদেহ দেখলে ঈষ্ট-দেবতা কে মনে মনে স্মরণ করুন। যদি কোনও ব্যক্তির শেষকৃত্যের সঙ্গী হতে পারেন তবে পুণ্যলাভ হয়। শবযাত্রা দেখলে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের কাছে তাঁৎ আত্মার জন্য শান্তি কামনা করুন। কখনও কোনও শবযাত্রার পথ কাটবেন না বা শবযাত্রা দেখে এড়িয়ে যাবেন না। এতে মহা পাপ হয়। সম্ভব হলে শবযাত্রাকে নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করুন। শবযাত্রা দেখলে চেষ্টা করুন মৌন থাকার, কারণ মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ বা সম্মান জানানোর জন্য নীরব থাকাই উচিৎ।