কেউ যদি মোদকে তার প্রিয় ভোগ নিবেদন করতে না পারেন, তাহলে আরও অনেক ধরনের ভোগ নিবেদন করা যেতে পারে, যা ভগবান গণেশকে খুশি করে। আজ আমরা এর বিকল্প ভোগের কথা বলব।
গণেশ চতুর্থীর সাথে সাথে ঘরে ঘরে গণপতি বাপ্পার পূজা শুরু হয়। গণেশ পূজা দশদিন পর শেষ হবে এবং একই দিনে গণপতির প্রতিমা বিসর্জন হবে। প্রথম দিন থেকে দশম দিন পর্যন্ত গণেশকে ভোগ নিবেদন করা হয়। কেউ যদি মোদকে তার প্রিয় ভোগ নিবেদন করতে না পারেন, তাহলে আরও অনেক ধরনের ভোগ নিবেদন করা যেতে পারে, যা ভগবান গণেশকে খুশি করে। আজ আমরা এর বিকল্প ভোগের কথা বলব। অনেকে প্রতিদিন গণেশকে মোদক দিতে পারেন না, কিন্তু তারা আরও অনেক কিছু দিতে পারেন।
প্রথম দিন (মোদক)
প্রথম দিন, ভগবান গণেশকে প্রিয় মোদক ভোগ দিন, যা তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। মাওয়া, জাফরান এবং চকলেট দিয়ে তৈরি মোদকের মত মোদক অনেক ধরনের আছে।
দ্বিতীয় দিন (মতিচুর লাড্ডু)
মতিচুর লাড্ডু ভগবান গণেশের খুব প্রিয়। পূজা করার সময় বাপ্পাকে মতিচুর লাড্ডু নিবেদন করুন।
৩য় দিন (বেসন লাড্ডু)
বিঘ্নহর্তা গণেশকে বেসনের লাড্ডুও দেওয়া যেতে পারে। এটিও বাপ্পার অন্যতম প্রিয় খাবার।
চতুর্থ দিন (কলা)
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে কোনও দেব-দেবীর উদ্দেশে ফল নিবেদন করা উত্তম বলে মনে করা হয়। পূজার চতুর্থ দিনে গণেশকে কলা নিবেদন করুন।তিনি কলা খুব পছন্দ করেন।
পঞ্চম দিন (ক্ষীর)
বাড়িতে তৈরি মাখন-ক্ষীর ভগবান গণেশকে ভোগের জন্য নিবেদন করা যেতে পারে। আপনি এতে শুকনো ফল যোগ করে এর স্বাদ বাড়াতে পারেন।
ষষ্ঠ দিন (নারকেল)
হিন্দু ধর্মে পূজা, যজ্ঞ, হবন ইত্যাদিতে নারকেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নারকেল বিতরণ করা হয় এবং প্রসাদ হিসাবে খাওয়া হয়।
সপ্তম দিন (গুড়)
গুড় নিবেদন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। ঘিতে ভাজলে এর স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ভোগ যা ভগবান গণেশের খুব পছন্দ।
অষ্টম দিন (লাড্ডু)
মোদকের পর যদি এমন কোনো মিষ্টি থাকে যা ভগবান গণেশের সবচেয়ে বেশি পছন্দ, তা হল বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু। আপনিও এটি প্রসাদ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।
নবম দিন (কালাকাঁদ)
দুধ থেকে তৈরি কালাকাঁদ ও খোপারপাকের মতো সুস্বাদু মিষ্টি ভোগ হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, দুধ এবং ঘি দিয়ে তৈরি মিষ্টিও গণেশকে নিবেদন করা উচিত।
দশম দিন (৫৬ ভোগ)
গণেশোৎসবের দশম ও শেষ দিনে ৫৬টি ভোগ নিবেদন করুন। হিন্দুধর্মে এর অনেক মহিমা রয়েছে। ভগবানের এই ভোগকে অন্নকূটও বলা হয়, যা শেষ দিনে করা হয়।