জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যদি বাস্তুতে কোনও সমস্যা থাকে তবে ঋণে জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঋণে জর্জরিত জীবন কখনই সুখের হতে পারে না। একটি ঋণ শোধ করতে শুরু হয় আরও কিছু ঋণ। হাজার চেষ্টা করেও ঋণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে যে কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি বিশেষের থেকে টাকা ধার নেওয়ার পর বাড়তে থাকে ঋণের বোঝা। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কিছু টোটকা মেনে চললেই এই জটিল সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন, বছর শেষে এই ৩ রাশির ঘুরতে চলেছে ভাগ্য
বাস্তু মতে, বাড়ি অথবা অফিসে জল নিকাশীর ব্যবস্থা সব সময় উত্তর-পূর্ব দিকে করলে শুভ। এর ফলে ঋণ শোধ হবে এবং অর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। আবার বাড়ি বা অফিসের ছাদের ঢাল যদি দক্ষিন-পশ্চিম দিকে বেশি হয়ে থাতে তবে ঋণের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাড়িতে কখনও ঝুল বা খুব নোংরা না জমে, এতে পরিবারের সুখ শান্তি নষ্ট হয় এবং ঋণে জরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন- কু-নজর থেকে বাড়িকে রাখুন মুক্ত, জেনে নিন বাস্তুর এই সহজ টোটকা
আর্থিক কারণে ঋণগ্রস্থ হলে বাড়িতে গৃহ দেবতার পুজোর সময় প্রদীপে সাদা সলতের পরিবর্তে লাল সলতে ব্যবহার করুন। এর ফলে আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে এবং ঋণ মুক্তি হয়। এই মাসে একটি গোটা নারকেলের উপর সিঁদুরের তিলক এঁকে, আর্থিক সমস্যার মুক্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করে সেটি লাল কাপড়ে বেঁধে টাকা-পয়সা রাখার জায়গায় রেখে দিলে খুব দ্রুত আর্থিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। অগ্রহায়ণ মাসে এই টোটকাগুলি মেনে চললে ঋণ মুক্তি লাভের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আটার ১০৮টি গুলি বানিয়ে ইষ্টদেবতাকে এবং মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করে পুকুরে কিংবা নদীতে মাছেদের এগুলি খাওয়ালে ঋণ মুক্তির পাশাপাশি ধন প্রাপ্তিও ঘটবে।