জ্যোতিষমতে বাড়িতে পাখির বাসা অনেক সময় শুভ ফল প্রদান করে। অবার অনেক সময় পরিবারের জন্য অশুভ বা নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে।
অনেকেরই বাড়িতে অনেক সময় পশু বা পাখি বাসা বানিতে থাকে। কখনও ছাদ, কখনও আবার বাড়ির ফাঁকা বারান্দা, কখনও আবার ঘুলঘুলিতে খড়কুটো দিয়ে বাসা তৈরি করে। কিছু পোকামাকড় রয়েছে সেগুলিতেও মানুষের বাড়িতেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গা ঘেঁসাঘেঁসি করে থাকে। জ্যোতিষমতে এগুলি অনেক সময় শুভ ফল প্রদান করে। অবার অনেক সময় পরিবারের জন্য অশুভ বা নেতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে। আজ এক নজরে দেখে নিন এগুলি কোন পাখি বা পোকার বাসা আপনাকে কী ফল প্রদান করে-
চড়ুই পাখির বাসা-
চড়ুই পাখি কিন্তু কোনও দিনও গাছের ডালে বাসাা বাঁধে না। মানুষেক বাড়িতেই বাসা তৈকি করে থাকে। জ্যোতিষ মতে চডুই পাখি যদি আপনার বাড়িতে বাসা তৈরি করে তাহলে তা আপনার জন্য সময় সময়ের ইঙ্গিত দেয়। জ্যোতিষমতে বিশ্বাস করা হয়ে এতে পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে।
পায়রার বাসা
পায়রাও কিন্তু গাছে থাকতে পছন্দ করে না। অনেকটা চড়ুই পাখির মত। পায়রার পছন্দ কোঠাবাড়ি বা পুরনো বাড়ির ফাঁক ফোকোড়। জ্যোতিষমতে এটির মিশ্র প্রভাব রয়েছে। পায়রা বাসা কারো কারো জন্য শুভ হতে পারে। কারও কারও জন্য আবার অশুভ ফল প্রদান করে।
মৌমাছির চাক
জ্যোতিষ মতে মৌমাছির চাক বাড়িতে থাকা শুভ বয়। মনে করা হয়ে মৌমাছির চাক পরিবারের কোনও না কোনও সদস্যের দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেয়।
ভীমরুলের বাসা
বাড়িতে ভীমরুলের বাসাও খুব অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এগুলি হতে সাবধানে সরিয়ে ফেলাই শ্রেয়। ভীমরুলের বাসাও দুর্ঘনটার ইঙ্গিত দেয়।
বাদুড়ের বাসা
বাড়িতে বাদুড়ের প্রবেশই হিন্দু শাস্ত্রে অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই বাড়িতে বাদুড়ের ঘটনা অপ্রীতিকর ঘটনার ইঙ্গিত দেয় বলেও জ্যোতিষাশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয়। বাদুড়ের বাসা দ্রুত বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলা ভাল।
মোরগের বাসা
বাড়িতে মোরগের বাসা শুভ বলে মনে করা হয়। মোরগ গৃহস্থের বাড়িতে থাকলে তা সুখ আর সমৃদ্ধি নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। ওই বাড়ির লোকের সৌভাগ্য আসে, কষ্ট দূর হয় বলেও মনে করা হয়।
পিঁপড়ের বাসা
বাড়িতে কালো পিঁপড়ের বাসা শুভ বলে মনে করা হয়। কিন্তু লাল পিঁপড়ের বাসা অশুভ বলে মনে করা হয়। লাল পিঁপড়ে বাসা বাঁধলে পরিবারের আর্থিক সংকট বা ক্ষতি ডেকে আনে বলে মনে করা হয়। তাই বাডিতে লাল পিঁপড়ে বাসা বাঁধলে দ্রুত তা ভেঙে দিন।