রান্নাঘরে বাস্তু সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। রান্নাঘরে বাস্তু দোষ থাকলে পরিবারের সদস্যদের ওপর অশুভ প্রভাব পড়ে।
রান্নাঘর যেকোনও বাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী রান্নাঘর হল মা লক্ষ্মীর অবস্থানের জায়গা। এখানে খাবার তৈরি হয়। যা মানুষের এনার্জির মূল উৎস। তাই রান্নাঘরে বাস্তু সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। রান্নাঘরে বাস্তু দোষ থাকলে পরিবারের সদস্যদের ওপর অশুভ প্রভাব পড়ে।
রান্নাঘরের বাস্তু দোষ কাটানোর উপায়-
রান্নাঘরের পাশে যদি শৌচাগার বা বাথরুম থাকে তাহলে তা পরিবারের সদস্যদের জন্য অত্যন্ত অশুভ। এতে পরিবারের সদস্যদের শরীর খারাপ হয়। পরিবারের কোনও সদস্য সুস্থ থাকতে পারে না। তাই এই সংক্রান্ত বাস্তু দোষ কাটাতে হলে একটি কাঁচের বাটিতে নুন ভর্তি করে নিন। তারপর তা বাথরুমে রেখে দিন। ১৫দিন অন্তর বাটির নুন বদল করুন। এতে নেগেটিভ এনার্জি ক্ষয় হবে।
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী রান্নাঘর আর ঠাকুর ঘর এক সারিতে থাকা ঠিক নয়। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আশান্তি বাড়ে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। তাই এই সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রান্নাঘরে গঙ্গাজলের ছড়া দিন। তাতে সমস্যা দূর হবে।
রান্নাঘরের পাশে বাড়ির মূল দরজা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের ওপর অশুভ প্রভাব পড়ে। রান্নাঘরের বাস্তু দোষ কাটাতে রান্নাঘরের সামনে একটি সুন্দর পর্দা টাঙিয়ে দিতে পারে। তাতে সদস্যদের জীবনে উন্নতি বাধাপ্রাপ্ত হয়না।
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী স্নান সেরে তবেই রান্না ঘরে প্রবেশ করা উচিৎ । বাসি কাপড়ে রান্নাঘরে যাওয়া ঠিক নয়। তাতে নেগেটিভ এনার্জি ছড়িয়ে পড়ে। তাই সকালে রান্নাঘরে ঢোকার আগেই স্নান করুন। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে বাসি কাপড় ছেড়ে রান্নাঘরে যান। নাহলে মাথায় সামান্য জল দিয়ে তবেই রান্নাঘরে প্রবেশ করুন।
রান্নাঘরের বাস্তু দোষ কাটানোর আরও একটি উপায় হল, রান্নাঘরে থাকা চালের কৌট কখনই খালি হতে দেবেন না। চাল হল মা লক্ষ্মী। চালের কৌট সর্বদা পরিষ্কার করে রাখুন। তাতে পরিবারের সদস্যদের শ্রীবৃদ্ধি হয়।