পায়ের আকৃতি, পায়ের পাতার রঙ এবং তার উপরে থাকা বিভিন্ন চিহ্ন দেখে একজন ব্যক্তির প্রকৃতি এবং তাঁর ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে পারা যায়।
ভাগ্য বিচারের ক্ষেত্রে মানুষ অধিকাংশ সময়েই হাতের রেখাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তবে অন্যান্য শারীরিক লক্ষণগুলি থেকেও ভবিষ্যতের ঘটনাবলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যায়। পায়ের আকৃতি, পায়ের পাতার রঙ এবং তার উপরে থাকা বিভিন্ন চিহ্ন দেখে একজন ব্যক্তির প্রকৃতি এবং তাঁর ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে পারা যায়।
পায়ের তলদেশে যদি গোলাপী আভা থাকে বা পায়ের তালু রক্তের মতো লাল হয়, তবে এই ধরনের ব্যক্তির জীবন বেশ আরামদায়ক হয়। এই ধরনের মানুষরা সমাজে সবসময় একটি উচ্চ অবস্থান লাভ করেন।
পায়ে যদি কলসি, পদ্ম, পাখনা, শঙ্খ, ছাতা, ধনুক, রথ, ভম্বু, সূর্য, চন্দ্র, পতাকা, গদা, মাছ, তীর এই ধরনের আকারে কোনও বিশেষ চিহ্ন থাকে, তবে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। যেকোনও কাজ তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলতে পারেন, এর ফলে যথেষ্ট কম বয়সেই জীবনে সাফল্য আসে।
পায়ের আঙ্গুলগুলো যদি সমান হয়, ডানদিকে সামান্য ঝুঁকে থাকে, একত্রে জুড়ে থাকে, সামনে থেকে গোলাকার, মসৃণ ও চকচকে দেখায়, তাহলে সেই ব্যক্তিরা খুব ধনী হন।
হাঁটার সময় মহিলাদের পা যদি মাটিতে ভালোভাবে স্পর্শ করে এবং লাল পদ্মের মতো রঙের হয়, সেই নারী জীবনে ধনী এবং সমৃদ্ধশালী হন। তাঁদের জীবনে কোনও কিছুর অভাব থাকে না।
গোড়ালি যদি গোলাকার ও নরম হয় তাহলে এমন ব্যক্তির জীবনে সব ধরনের ঐশ্বর্য ও সুখে ভরপুর থাকে। বড় গোড়ালিযুক্ত পুরুষ এবং মহিলারা দীর্ঘজীবী হন বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, গোড়ালি যদি ফাটা বা রুক্ষ হয়ে থাকে, সেইসমস্ত মানুষরা খুব পরিশ্রমী হন, তাঁরা অল্প পরিশ্রমে কখনও কাহিল হয়ে পড়েন না।
পায়ের বুড়ো আঙুল যদি চ্যাপটা, আঁকাবাঁকা বা খুব ছোট আকারের হয়, তাহলে তা সেই ব্যক্তির জন্য অশুভ। এই ধরনের মানুষদের সাফল্যের পথে ভীষণ প্রতিকূলতা আসে।
পা সামনের দিক থেকে খুব চওড়া এবং পিছনে খুব সরু হলে, বা আঙুলগুলোর মধ্যে দূরত্ব থাকলে এবং পায়ের পাতার শিরাগুলি জালের আকারে স্পষ্ট দেখা গেলে, তা অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। প্রায়শই এই ধরনের মানুষদের ভাগ্যে খুব দুঃখ থাকে।
পায়ের পিছনে এবং তলায় উভয় দিকে খুব বেশি ঘাম হওয়া ভালো লক্ষণ নয়, এই ধরনের লক্ষণ আত্মবিশ্বাসের অভাব বলে বিবেচিত হয়, এই ধরনের পা-বিশিষ্ট মানুষরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যথাযোগ্য সাফল্য লাভ করতে ব্যর্থ হন। পায়ের পাতার ওপরের দিকেও অতিরিক্ত চুল থাকা অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়।