
ঘর মোছার কিছু ভুল পদ্ধতি বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। যেমন, নোংরা ঘর বা আবর্জনা সঠিক জায়গায় না রাখা, ঘর মোছার সময় ভুল দিক থেকে শুরু করা এবং নোংরা জল নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলা ইত্যাদি। এই ভুলগুলো এড়াতে এবং ইতিবাচক শক্তি আনতে ঘর মোছার কিছু সঠিক বাস্তুমত নিচে আলোচনা করা হলো।
* ঘর মোছার সময় বাস্তুমত
১) সঠিক দিক থেকে শুরু করুন: ঘর মোছার কাজটি উত্তর বা পূর্ব দিক থেকে শুরু করা উচিত। এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে।
২)নোংরা জল সঠিক জায়গায় ফেলুন: ঘর মোছার পর নোংরা জল দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে না ফেলে উত্তর বা পূর্ব দিকে ফেললে তা ভালো বলে মনে করা হয়।
৩)ঘর পরিষ্কার রাখুন: নোংরা বা অপরিষ্কার ঘর নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে, তাই ঘর সব সময় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা উচিত।
৪) পুরনো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন: ঘরের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বা পুরনো জিনিসপত্র ফেলে রাখা নেতিবাচক শক্তির কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে পুরনো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।
৫) ঘরের কোণ পরিষ্কার করুন: ঘরের কোণগুলি প্রায়শই নোংরা থাকে, তাই এগুলি পরিষ্কার রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
৬) সঠিক সময়: ঘর মোছার জন্য দিনের বেলা, বিশেষ করে সকালে বা দুপুরে, সময় বেছে নেওয়া ভালো।
৭) সঠিক সরঞ্জাম: ঘর মোছার জন্য পরিষ্কার এবং ভালো সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
৮) জল ও নুনের ব্যবহার: ঘর মোছার জলে সামান্য সামুদ্রিক লবণ বা সাধারণ মোটা লবণ মিশিয়ে মোছা অত্যন্ত শুভ। সামুদ্রিক লবণকে নেতিবাচক শক্তি শোষণ করার জন্য খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার বা দুবার লবণ জল দিয়ে ঘর মুছলে বাস্তু দোষ দূর হয় এবং পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। মোছার জল সবসময় পরিষ্কার হওয়া উচিত। নোংরা বা পুরোনো জল ব্যবহার করা উচিত নয়।
* কবে মোছা উচিত নয়?
বাস্তু মতে, বৃহস্পতিবার ঘর মোছা উচিত নয়। এই দিন ঘর মুছলে বা বিশেষ করে ঝাঁট দিলে লক্ষ্মী দেবীর কৃপা কমে যায় এবং আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। বৃহস্পতিবার মেঝে মোছা একান্তই জরুরি হলে, শুধু পরিষ্কার জল ব্যবহার করা যেতে পারে, লবণ বা ডিটারজেন্ট মেশানো উচিত নয়। এই সহজ নিয়মগুলি মেনে ঘর মুছলে আপনার বাড়িতে কেবল পরিচ্ছন্নতাই আসবে না, বরং এক ইতিবাচক, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় থাকবে।
এই বাস্তুমতগুলো মেনে চললে, আপনি আপনার ঘরে ইতিবাচক শক্তি বাড়াতে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করতে পারবেন।