
Numerology Hacks: প্রত্যেক মানুষই কিছু বিশেষ গুণ ও দুর্বলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কেউ শান্ত, কেউ প্রতিবাদী, আবার কেউ চুপচাপ সহ্য করতে অভ্যস্ত, কিন্তু প্রয়োজনে মুখ খোলাতেও পিছপা হয় না। এই বৈচিত্র্যময় আচরণগুলোর পেছনে যে অনেক সময় গভীর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে, তা আমরা জানি। তবে সংখ্যাতত্ত্ব মতে, একজন ব্যক্তির জন্মতারিখের মাধ্যমেও তার চরিত্র, চিন্তাভাবনা ও জীবনের দিকনির্দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
বিশেষত, জন্মতারিখ ৩, ১২, ২১ বা ৩০ — এই চারটি দিনে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব কিছুটা আলাদা এবং তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি তীক্ষ্ণ মানসিকতা, দৃঢ়তা এবং প্রতিক্রিয়া প্রবণতা নিয়ে চলেন। আসুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, যেসব ব্যক্তির জন্ম তারিখ ৩, ১২, ২১, বা ৩০ তারিখে, তাদের মূল সংখ্যা হয় ৩। এই সংখ্যার অধিপতি হলেন বৃহস্পতি — যিনি দেবতাদের গুরু এবং জ্ঞান, ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার প্রতীক। বৃহস্পতির প্রভাবেই এই জাতক-জাতিকারা হয়ে থাকেন বুদ্ধিমান, সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, স্পষ্টভাষী ও আত্মসম্মানী।
এই জন্মসংখ্যার মানুষের বৈশিষ্ট্য ও মনোভাব
১। ন্যায়পরায়ণ
তারা অকারণে ঝগড়া করে না, কিন্তু কেউ কষ্ট দিলে ছেড়ে দেয় না। তারা নীরবে সহ্য করলেও অন্যায় দেখলে প্রতিবাদে পিছপা হয় না।
২। সহজে সকলের প্রিয় হয় না
তাদের স্পষ্ট কথা ও আত্মবিশ্বাস অনেক সময় লোককে অস্বস্তিতে ফেলে। ফলে তারা সকলের প্রিয় হতে না পারলেও, তারা যাদের কাছে প্রিয় হন, তাদের কাছে সত্যিই শ্রদ্ধার পাত্র হন।
৩। তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক ও শেখার আগ্রহ
এই ব্যক্তিরা জ্ঞান লাভে আগ্রহী। এই ব্যক্তিদের খুব তীক্ষ্ণ মন থাকে। তারা তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হয়।
৪। কঠোর পরিশ্রমী ও সংগ্রামী
এই তারিখগুলিতে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা সর্বদা জীবনে এগিয়ে থাকতে চান। তারা হারতে পছন্দ করেন না। তাদের বহুবার ব্যর্থতা, দায়িত্ব এবং সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু ধৈর্য ও মনোবল তাদের জয় এনে দেয়।
৫। সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত জীবন
তারা নিজের পছন্দে বিয়ে করলেও, সম্পর্ক স্থায়ীত্ব পায় না। খুব অল্প বয়সেই তাদের উপর দায়িত্ব এসে পড়ে, যা পালনের জন্য তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।