তুলসী দেবী ও শঙ্খাসুরের দেহাংশ থেকে শাঁখার সৃষ্টি করেন এবং বিবাহের চিহ্ন হিসেবে এটি ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
ব্রক্ষ্মবৈবর্ত পুরাণের বর্ণনা অনুসারে, এক অত্যাচারী অসুরের উপদ্রবে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ওই অসুরের নাম ছিল শঙ্খাসুর। এদিকে শঙ্খাসুরের স্ত্রী তুলসী দেবী ছিলেন নারায়ণের একনিষ্ঠ ভক্ত। শঙ্খাসুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নারায়ণ তাঁরে বধ করেন। সে সময় তুলসী দেবী তখন নারায়ণের কাছে তাঁর নিজের ও স্বামীর অমরত্বের প্রার্থনা করেন। সে সময় নারায়ণ তুষ্ট হয়ে, তুলসী দেবী ও শঙ্খাসুরের দেহাংশ থেকে শাঁখার সৃষ্টি করেন এবং বিবাহের চিহ্ন হিসেবে এটি ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
এদিকে আবার ব্রিটিশ লেখক জেমস ওয়াইজের লেখা থেকে জানা যয়া বল্লাল সেনের সঙ্গে দক্ষিণ ভারত থেকে বাংলাদেশে শাঁখারিরা এসেছিলেন। আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগেও শাঁকার প্রচলন ছিল। দক্ষিণ ভারতের অলঙ্কার হিসেবে পরিচিত শাঁখা।
সব মিলিয়ে বৈবাহিত জীবনে মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে পরিচিত এই শাঁখা নিয়ে রয়েছে নানান মতানৈক্য। বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত আছে শাঁখা। তবে, কী থেকে এই ধারণার সূত্রপাত হয়েছে তা নিয়ে আছে মতানৈক্য। প্রায় ২,০০০ বছর আগে দক্ষিণ ভারতে শঙ্খশিল্পের উদ্ভব ঘটে। বল্লাল সেনের হাত ধরে দক্ষিণ ভারত থেকে এই শিল্প বাঙালি সমাজে প্রবেশ করেছিল বলে মনে করেন অনেকে। তেমনই এই শাঁখা নিয়ে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। শঙ্খাসুর ও তাঁর স্ত্রী তুলসী দেবীর প্রচলিত কাহিনি আছে। কথিত আছে, নায়রণ নাকি তাঁদের শরীর থেকে শাঁখা সৃষ্টি করেছিলেন। সে যাই হোক, মাঙ্গলিক চিহ্ন হিসেবে হোক বা শুধু অলঙ্কার হিসেবে শাঁখার খ্যাতি সর্বত্র।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D
আরও পড়ুন
সেরা প্রেমিকের তকমা পান এই পাঁচ রাশির ছেলেরা, সঙ্গীর জন্য সকল কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন এরা
দেখে নিন সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে কেমন কাটবে শুক্রবার দিনটি, রইল জ্যোতিষ গণনা