
রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে হয় বিপত্তারণী পুজো। মা দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে একটি হল বিপত্তারণী। শাস্ত্র মতে, এই পুজো করলে সব পাপ দূর হয় ও বিপদ কেটে যায়। এই পুজোতে ভক্তরা ১৩ রকম ফুল ও ফল দিয়ে দেবীর আরাধনা করে থাকে। পুজোতে একটি লাল সুতো বাঁধার প্রচলন আছে।
এই পুজোয় ব্রত পালনের পর লাল সুতো হাতে বাঁধার রীতি প্রচলিত। এই লাল সুতো জুড়ে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এই সুতোয় থাকে ১৩টি গিঁট।
বিপত্তারিণী পুজোয় দেওয়া লাল সিতো ভক্তরা হাতে বাঁধেন। সুতোয় থাকে ১৩টি গিঁট। মনে করা হয়, প্রতিটি গিঁটে থাকেন দেবী দুর্গা। তার সঙ্গে ১৩টি দূর্বাও থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, সুতোটি অমঙ্গল থেকে ভক্তদের দূরে রাখে। অনেকেই এই সুতো সারাবছর হাতে রাখেন। আবার অনেকে তিন দিন পরে নদীতে বা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন।
বিপত্তারিণী পুজোর ব্রত পালনের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিন। শুদ্ধ বস্ত্র পরুন। লাল রঙের পোশাক পরতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
বিপত্তারিণী পুজো দিন উপবাস করুন। কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতা থাকলে উপবাস না করাই ভালো। পুরোহিতের পরামর্শ নিন।
বিপত্তারিণী পুজোর ব্রত পালনের সময় পুষ্পাঞ্জলি দিন। ব্রতকথা শুনুন।
এই বিপত্তারিণী পুজো ব্রত পালনের দিন ভাত খাবেন না। আমিষ না খাওয়াই ভালো। নিরামিষ খাবার খেতে হবে।
এই দিন ১৩টি লুচি খেতে হবে। মনে রাখবেন তেরোর বেশি বা কম হলে চলবে না।
বিপত্তারিণী পুজোর দিন ভুলেও কাউকে চিনি ধার দেবেন না।
কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না এই দিন।
বাচ্চাদের খাবার দিতে পারেন বিপত্তারিণী পুজোর দিন।