
প্রবল গতির এই জীবনে বাড়িতে বেশি সময় না কাটালেও বাড়ি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে উন্নতি ও ভালাবাসার জন্য বাস্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শোয়ার ঘরের। তবে বসার ঘর বা ড্রয়িং রুমও একটি বাড়ির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাস্ত নিয়ম মেনে এই দুটি ঘর সাজানোর টিপস রইলঃ
শোয়ার ঘরের বাস্তু নিয়মঃ
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী সর্বদাই মাস্টার বেড রুম হতে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে। শিশুদের থাকার ঘর উত্তর-পশ্চিম কোন করে হলে ভাল হয়। বেডরুমের পূর্ব ও উত্তর দিকের দেওয়ালে জানালা তৈরি করতে পারেন। শোয়ার ধরে খাট ও ড্রেসিনটেবিল এমনভাবে কখনই রাখবেন না যাতে খাটের প্রতিচ্ছবি া আয়নায় পড়ে। এটি কিন্তু খুব অশুভ। নেগেটিভ এনার্জি বহন করে।
বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী শোয়ার ঘরের রং সর্বদাই হালকা হওয়া উচিৎ। তাতে মনের শাস্তি ও পজেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায়। শোয়ার ঘর কখনই অপরিষ্কার করে রাখবেন না। শোয়ার ঘরে সর্বদা ধূপ - ধুনো দিতে পারেন। চাইলে সুগন্ধী প্রেস করতে পারেন। শোয়ার ঘরে ইলেকট্রনিক্স বা গেজেট জাতীয় জিনিস কম রাখার চেষ্টা করুন। মৃত মানুষের ছবি শয়নকক্ষে রাখবেন না। া আলো বাতাস যাতে খেলতে পারে তার ব্যবস্থা করুন।
বসার ঘরের বাস্তু নিয়মঃ
বসার ঘর অন্যের কাছে আপনার রুচি প্রকৃতি তুলে ধরে। বসার ঘর বাড়ির মালিকের পরিচয় বহন করে। তাই এই ঘর সর্বদাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এই ঘরে মনের মত করে সাজান। কিন্তু বসার ঘরে কালো বা কালচে রং ব্যবহার করবেন না। বসার ঘরে দরজার পাশেই ঘরে যাতে সর্বদা আয়না রাখবেন না। তাতে নেগেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায়। সহজেই ঘরে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করতে পারে। বসার ঘরে কোনও দরজার কাছেই কাচের জিনিস রাখবেন না। ফুলদানি রাখলে তামা বা পিতলের রাখতে পারেন। সেটি পজেটিভ এনার্জি দেয়। বসার ঘরে বসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কম জিনিস রাখুন। বসার ঘরে ঠাকুর ছবি রাখতে পারেন। গোটা পরিবারের ছবি রাখতে পারেন। মৃত ব্যক্তির ছবিও এখানে রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন ছবিতে ফুল থাকলে তা বাসি ও শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই বদলে ফেলুন। প্রয়োজনে প্ল্যাস্টিকের ফুল ব্যবহার করুন। হালকা গোলাপি , হলুদ বা সবুজ রঙে ব্যবহার করুণ। উজ্জ্বর রঙ বাড়িতে পজেটিভ এনার্জি দেয়।
বসার ঘরের মূল দরজার পাশেই থাকে। তাই মূল দরজা পরিচ্ছন রাখুন। দরজা ইউন্ডচাইম লাগাতে পারেন। এটি বাড়ির পরিবেশ বদলে দেয়। মন ভাল করে দেয়। মন ভাল থাকলে কাজে বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়।