ভালোবাসায় মিষ্টি খুনসুটি নাকি, একেবারে বিচ্ছেদের ঝগড়া? দেখে নিন কোন রাশির মানুষরা প্রেমের সম্পর্কে খুব বেশি যত্নশীল
একেকটি রাশির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য়। কোন প্রেমিক বা প্রেমিকা কেমন ধরনের মানুষ হবেন, বা সঙ্গীর থেকে কী আশা করবেন, তা নির্ভর করে তাঁর রাশির ওপর। দেখে নিন সেই তালিকা।
একেকটি রাশির মানুষ নিজেদের প্রেমজীবনে একেক ধরনের হয়ে থাকেন।
সম্পর্কের জটিলতায় রাশিফল একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যেমন মেষ রাশি, এই রাশির মানুষরা সাধারণত একটু আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। এদের সবসময় ভালোবাসায় থাকতে ইচ্ছে হয়।
এঁরা সবসময় অনুভব করতে চান যে, নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে এঁরাই সেরা। সবকিছুতে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পছন্দ করেন।
বৃষ রাশির জাতকরা নিজেদের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে খুব তোষামোদ করেন। এঁরা উপহার দিতে এবং গ্রহণ করতে পছন্দ করেন।
রোমান্টিক হাবভাব এবং কথাবার্তা এদের কাছে জলভাত। মাঝে মাঝে একটু একগুঁয়েমি করেন বটে, কিন্তু, যথেষ্ট বাস্তববাদী হন।
মিথুন রাশির জাতক জাতিকারা সাধারণত খুব মুডি হন। এদের মেজাজ পরিবর্তন করা বেশ কঠিন।
এদের জন্য বুদ্ধির সামঞ্জস্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এঁরা মানুষের চেহারাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না এবং বুদ্ধিমান ও মজাদার মানুষদের খুব পছন্দ করে।
কর্কট রাশির মানুষরা একটু অন্তর্মুখী আর ঘরকুনো হন। এঁরা শান্তিপ্রিয় এবং সঙ্গীর সাথে শান্ত ও নিভৃত সময় কাটাতে পছন্দ করেন।
এঁরা সবরকম পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারেন ঠিকই। তবে, এদেরকে নিজের খোলস থেকে বের করে আনতে একটু সময় লাগে।
সিংহ রাশির মানুষরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু অহংকারী আর নাক-উঁচু ধরনের হন। এঁরা নিজেদের কাজ এবং কর্মক্ষমতার প্রশংসা পেতে পছন্দ করেন।
এদের একটু ইগোর সমস্যা থাকে বটে, তবে এঁরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান হন। কেউ এঁদের সহজে ঠকাতে পারবে না।
কন্যা রাশির জাতক জাতিকারা বুদ্ধির দ্বারা খুব বেশি আকৃষ্ট হন না, এর কারণ হল, এঁরা নিজেরাই অত্যন্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন।
জীবনের সর্বস্তরে এঁরা নিজের সঙ্গীকে পথ দেখাতে চান। এঁরা সব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারেন আর বাস্তববাদী হন।
তুলা রাশিকে ‘ফ্লার্ট করার রাশি’ বলে মনে করা হয়। এঁদের সর্বদা কোনও সঙ্গীর প্রয়োজন হয়।
যে কোনও কাজে তুলা রাশির জাতকদের আশ্বাস দরকার হয়। এঁরা ভালো সঙ্গী হতে পারেন। ভালো কথাও বলেন। নিজের মনের কথা খুব সহজেই বলে দিতে পারেন।
বৃশ্চিক রাশির মানুষরা মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী এবং উৎসাহী হন। প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বিশেষভাবে যৌনতার খোঁজ করেন।
এঁরা খুব উদ্যমী আর ছটফটে হন। গভীরভাবে ভালোবাসতে পারেন বটে, কিন্তু সেটা মুখে বলে বোঝাতে পারেন না।
ধনু রাশির মানুষরা বেশ আধ্যাত্মিক হন। সম্পর্কের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ধরনের হয় এবং তারা আধ্যাত্মিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে চান।
এঁরা যেকোনও সঙ্গীর সাথে একেবারে আত্মার যোগাযোগ হওয়া অবধি অপেক্ষা করেন। পৃথিবীতে এক অসাধারণ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান। তবে সম্পর্ক তৈরি করার আগে এঁরা বেশ খানিকটা সময় নেন।
মকর রাশির জাতকরা যত্নশীল এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী হন। উদারতা এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের জন্য এঁরা প্রশংসা লাভ করেন।
এঁরা প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিয়ে বেশ হিংসুটে হয়ে থাকেন, নিজের সঙ্গীকে খুব বেশি অন্য কোনও মানুষের কাছে ঘেঁষতে দিতে চান না।
কুম্ভ রাশির জাতকরা মহৎ সামাজিক কাজের প্রতি নিবদ্ধ থাকেন। দল বেঁধে বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করতে ভালোবাসেন।
এঁরা নিজের সঙ্গীর সাথে বুদ্ধির আদানপ্রদান করতে ভালোবাসেন, অন্যথায় খুব তাড়াতাড়ি সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
মীন রাশির জাতকরা প্রেমিক-প্রেমিকাকে খুব যত্ন করেন এবং স্নেহময় হন। এঁদের মানবিক বোধ দৃঢ় থাকে।
এঁরা বুদ্ধিমান এবং বাস্তববাদী হন। তবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এঁরা খুব কাঁচা। এঁরা যা পারেন, সেটার প্রতি এঁদের সঙ্গী যদি বিশ্বাস করাতে এবং উৎসাহ দিতে পারেন, তাহলে এঁরা সাফল্য লাভ করেন এবং সেই সঙ্গীকে কোনওদিন ছেড়ে যান না।