পাইরাইট- এটি লোহা জাতীয়। কাছে রাখলে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পুরণ হয়। জীবনে কোনও দিনই অর্থের অভাব হয় না
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি রত্নের উপকারিতা রয়েছে। নিয়মমেনে রত্ন ধারন করলে জীবনে চলার পথ অনেক সুগম হয়। জীবনযাত্রা অনেক সহজ করে দেয়। রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী একটি শাখা রত্ন রয়েছে, যা কাছে রাখলে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পুরণ হয়। জীবনে কোনও দিনই অর্থের অভাব হয় না, নানা জটিলতা আর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি লাভ করা যায়। পরিবারের সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকে। সেই গুরুত্বপূর্ণ রত্নটির নাম হল পাইরাইট। এটি সূর্যের উপরত্ন।
পাইরাইট- এটি লোহা জাতীয়। অনেকে এটিকে বোকার সোনা বলে। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত আয়রন ডিসালফাইড খণিজ। পাইরাট শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ পাইর বা আগুন থেকে। পাইরাটকে যদি কোনও ধাতু দিয়ে আঘাত করা হয় তাহলে সেটি থেকে স্ফুলিঙ্গ বার হয়। পাইরাইকে বোতাক সেনা বলা হয়, কারণ যারা সঠিকভাবে ধাতু চেনা না, তাদের সোনা বলে এই ধাতু সহজেই গছিয়ে দেওয়া যায়। তবে জ্যোতিষ মতে এই রত্ন ধারণ করার প্রয়োজন নেই। এটি কাছে রাখলেই উপকার পাওয়া যায়।
পাইরাট রাখার উপকারিতা-
সিদ্ধান্ত গ্রহণে দৃঢ়তা
কোনও ব্যক্তি বা মহিলা যদি দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তাহলে অবশ্যই পাইরাট কাছে রাখতে পারেন। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি ব্যহার করলে মনের জোর আর সাহস বাড়ে।
ধন প্রাপ্তি
শাস্ত্র অনুযায়ী পাইরাইট ব্যবহার করলে ধন আর অর্থলাভ হয়। অর্থের সংকট তৈরি হয় না। আরও বেশি অর্থের জন্য আপনি যেখানে টাকা পয়সা রাখেন সেখানে পাইরাই রেখে দিতে পারেন।
ব্যবসার জন্য পাইরাইট
যারা ব্যবসা করেন তাদের জন্য পাইরাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবসায়ে ক্ষতি রুখে দেয়। এই রত্ন অফিসে রাখলে দ্রুত সুফল পাবেন। যারা চাকরি করেন তারা নিজের টেবিলে এই রত্ন রাখলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হয়। মিটিং বা চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার সময় এটি কাছে রাখতে পারেন।
ঋণমুক্তির পথ
ঋণের ভারে জর্জরিত ব্যক্তিরা সঙ্গে পাইরাট রাখতে পারেন। এটি অর্থের অগমণের পথ তৈরি করে। যাদের ঋণ রয়েছে তারা অবস্যই শোয়ার ঘরে পাইরাট রাখবেন।
সবশেষে বলে রাখা ভাল পাইরাট এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে কারও চোখে যাতে এই রত্ন না পড়ে। লোকচক্ষুর আড়ালে এটি রাখাই শ্রেয়। তবে পাইরাট রাখার আগে অবশ্যই আপনার আরাধ্য দেবতার নাম নিয়ে তারপরই এটি রাখুন।