দেবী সরস্বতীকে বসন্তপঞ্চমীর দিনে কয়েকটি ভোগ নিবদেন করলে গৃহস্থের কল্যাণ হয়। শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্য গোটা পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবে।
আর মাত্র তিন দিন বাকি রয়েছে সরস্বতী পুজোর। সরস্বতী মানেই বিদ্যার দেবী। স্কুল, কলেজ বা যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজো হয়। সরস্বতী পুজো মানেই পড়ুয়াদের পুজো। কিন্তু আপনি জানেন কি দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে পারেন আপনার মনের ইচ্ছে পুরণ হতে পারে। আর সেই জন্য শাস্ত্রমতে কতগুলি ভোগের কথা বলা হয়েছে। যা বসন্ত পঞ্চমীকে দেবী সরস্বতীকে নিবেদন করলে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সরস্বতী পুজোর দিনে সেই ভোগগুলি দেবীকে নিবেদন করুন। সরস্বতী যেমন নিজে হলুদ রং পছন্দ করেন বলে প্রবাদ রয়েছে তেমনই ভোগের রঙও কিন্তু হয় হলুদ।
দেবী সরস্বতীর ভোগ
বেসনের লাল্ডু
সরস্বতী পুজোর প্রসাদ হিসেহে দেবী সরস্বতীকে বেসনের লাড্ডু নিবেদন করুন। এরফলে সরস্বতীর পাশাপাশি দেবগুরু বৃহস্পতিও সন্তুষ্ট হয়। তাঁরও আশীর্বাদ পাওয়া যাবে। এসে আপনার বিয়ের পথ প্রসস্ত হবে। অনেকে আবার বলেন, দেবী সরস্বতীকে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে বেসনের লান্ডু ভোগ দিলে পছন্দের পাত্র ও পাত্রী পাওয়া যায়।
বাসন্তী পোলাও
বসন্ত পঞ্চমীর দিন অবশ্যই তৈরি করুন বাসন্তী পোলাও। এই নৈবেদ্য সরস্বতীকে তুষ্ট করবে। পাশাপাশি পরিবারির মধ্যে ইতিবাচক শক্তি বাড়াবে। বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করবে।
জাফরান সুজি
সরস্বতী পুজোর প্রসাদে বাঙালিদের মধ্যে লুচি আর সুজি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। সুজি রান্নার সময় সামান্য জাফরান বা কেশর দিয়ে দিতে হবে। তাহলে দেবী তুষ্ট হবেন। তাহলেই জীবন থেকে সমস্ত কষ্ট দূর হবে। পরিবাপের সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি সম্পর্ক বজায় থাকবে। শাস্ত্র বলা হয়েছে সরস্বতী জাফরান সুজি পছন্দ করেন।
বোঁদে
সরস্বতীকে ভোগে বোঁদে নিবেদন করলে দেবী পড়ুয়াদের বা নিবেদককে বুদ্ধি প্রদান করেন। জাতক বা জাতিকার বুদ্ধি বিকশিত হয়।
রাজভোগ
শাস্ত্রমতে এই ভোগ বসন্তপঞ্চমীতে দেবীকে নিবেদন করলে দেবীর আশীর্বাদে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। রাজভোদে দেবী প্রসন্ন হয়।
মালপুয়া
সন্তানের কেরিয়ারে যাতে কোনও বাধা না আসে। তার জন্য বসন্ত পঞ্চমীতে দেবীকে মালপুয়া নিবেদন করুন। দেবীকে এই দিনে মালপুয়া নিবেদন করলে শিশুদের মানসিক বিকাশ হয়।